২২ আগস্ট থেকে হাইকোর্টে আগাম জামিনের শুনানি..

মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট ২০২১ | ৪:০৩ অপরাহ্ণ

২২ আগস্ট থেকে হাইকোর্টে আগাম জামিনের শুনানি..
apps

করোনা মহামারিতে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর আগামি ২২ আগস্ট থেকে হাইকোর্ট বিভাগে আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি পালন করে এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ২২ আগস্ট থেকে হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট ফৌজদারি মোশন বেঞ্চে আগাম জামিন শুনানি গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট ফৌজদারি মোশন বেঞ্চ শুনানির সময় নির্ধারণ করবেন।

এর আগে করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে কঠোর বিধি নিষেধ উঠে যাওয়ায় ১১ আগস্ট থেকে হাইকোর্টের সব বেঞ্চে ভার্চ্যুয়ালি বিচারকাজ শুরু হয়েছে। ওইদিন হাইকোর্ট বিভাগের ৫৩ বেঞ্চে ভার্চ্যুয়ালি এ বিচারকাজ শুরু হয়।

তবে ৮ আগস্ট থেকেই আপিল বিভাগে ভার্চ্যুয়ালি বিচার কাজ চলছে। অপরদিকে ৮ আগস্ট থেকে হাইকোর্টে ভার্চ্যুয়ালি ১২টি বেঞ্চে বিচার কাজ চলে আসছিল।

গত ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী ১১ আগস্ট বুধবার থেকে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পরদিন ৯ আগস্ট ৫৩ ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ গঠন করে আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি।

ওই আদেশে বলা হয়, আমি এতদ্বারা নির্দেশ করিতেছি যে, দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া আগামী ১১ আগস্ট বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কার্য পরিচালনার জন্য বেঞ্চ গঠন করা হলো।

তবে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে আদালত খোলার পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হবে কবে- তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের। করোনা মহামারির মাঝেও সারাদেশে নিয়মিত আদালত পরিচালনার পক্ষে সোচ্চার রয়েছেন আইনজীবীদের একটি অংশ।

ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা পরিচালনায় সন্তুষ্ট নন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনজীবী। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন আদালত বন্ধ থাকায় পেশাজীবী আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। পরে ভার্চ্যুয়াল কোর্টের মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কিন্তু দেশের ৩ শতাংশ আইনজীবীও ভার্চ্যুয়াল কোর্ট পদ্ধতিতে সম্পৃক্ত হতে পারেননি এবং ৫ শতাংশ বিচারপ্রার্থীও এর সুফল ভোগ করতে পারেননি। যে কারণে সাধারণ আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাই আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা চান-স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের নিয়মিত আদালত খুলে দেওয়া হোক।

Development by: webnewsdesign.com