১৮ জনের বিরুদ্ধে জনতার আদালতে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে দাবি করেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তার ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে যে ওই ১৮ জনের নাম উল্লেখ করেছেন কাদের মির্জা। তাদের মধ্যে রয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী অ্যাডভোকেট ইসরাতুন্নেসা কাদের, ফেনীর এমপি নিজাম হাজারী, নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহীদুল হক (শহীদুল ইসলাম), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাজ্জাদ রোমন, সেতুমন্ত্রীর সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, তার স্ত্রী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন রুনু, ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের তিন ভাগ্নে— স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন, চরফকিরা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জায়েদল হক কচি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের পুনর্নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, চরকাঁকড়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন।
তাদের বিরুদ্ধে জনতার আদালতে জিডি করেছেন বলে উল্লেখ করেন।এ ছাড়া তিনি একই স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করেন, বিচারপতির কাছে বিচার চেয়েছি বিচার পাইনি, তাই বিচারপতির বিচার করে যে জনতা, বিচার দিলাম সে জনতার কাছে। যে জনগণ আমার প্রাণ শক্তি, সে জনগণ আমাকে প্রেরণা জোগাবেন। সত্যের যে প্রদীপ শিখা জ্বালিয়েছি- রাজভয়-লোকভয় তা কখনই নেভাতে পারবে না। মহান আল্লাহ আমার সহায় হোক। দোয়া করবেন সবাই।
জনতার আদালতে করা মেয়র কাদের মির্জার জিডির বিষয়টি প্রকাশ হলে, এটি কোম্পানীগঞ্জে সর্বত্র রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক মহলে ‘টক অব দ্য কোম্পানীগঞ্জ’-এ পরিণত হয়েছে।
কাদের মির্জার ফেসবুক পেজের স্ট্যাটাসটি হুবহু দেওয়া হলো—
আমাকে হত্যা ও নেতাকর্মীশূন্য করার জন্য যারা নীলনকশা এঁকেছেন, তাদের বিরুদ্ধে জনতার আদালতে জিডি করলাম।
১. ইসরাতুনেসা কাদের, ২. নিজাম হাজারী, ৩. একরামুল করিম, ৪. ফখরুল ইসলাম রাহাত, ৫. মিজানুর রহমান বাদল, ৬. খিজির হায়াত, ৭. আজম পাশা রুমেল, ৮. সিরাজিস সালেকিন রিমন, ৯. কানা আবদুর রেজ্জাক, ১০. জাহেদুল হক কচি, ১১. হানিফ সবুজ, ১২. নজরুল ইসলাম শাহিন, ১৩. আজ্জুমান পারভীন রুনু, ১৪. শহীদুল হক (এসপি নোয়াখালী), ১৫. জিয়াউল হক মীর (ট.ঘ.ঙ কোম্পানীগঞ্জ), ১৬. সাজ্জাদ রোমন (কোম্পানীগঞ্জ), ১৭. দিদারুল কবির রতন, ১৮. জাহাঙ্গীর (মন্ত্রী মহোদয়ের কথিত সহকারী)।
বিচারপতির কাছে বিচার চেয়েছি বিচার পাইনি। তাই বিচারপতির বিচার করে যেই জনতা বিচার দিলাম সেই জনতার কাছে। যে জনগণ আমার প্রাণ শক্তি সেই জনগণ আমাকে প্রেরণা জোগাবেন। সত্যের যে প্রদীপ শিখা জ্বালিয়েছি— রাজভয়/লোকভয় তা কখনই নেভাতে পারবে না। মহান আল্লাহ আমার সহায় হোক। দোয়া করবেন সকলে।
Development by: webnewsdesign.com