দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে বন্দরের পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ এর দাম অর্ধেকে নেমেছে। আজ ভারতীয় কাঁচা মরিচের কেজি ১৬০ টাকা। গতকাল দেশি কাঁচা মরিচ প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছিলো ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে।
ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির ফলে কমতে শুরু করেছে দাম। দাম কিছুটা কমাতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। আমদানি অব্যাহত থাকলে আরও দাম কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।রোববার (৭ আগস্ট) হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে সব কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির ফলে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। দেশের কৃষকরা কাঁচা মরিচ উৎপাদন করে থাকে। যখন ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ হয় তখন দেশের কৃষকরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে সাধারণ ভোক্তাদের অসুবিধায় পড়তে হয়। ভারত থেকে নিয়মিত কাঁচামরিচ আমদানি হলে বাজারে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছি।
হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির ফলে কমতে শুরু করেছে দাম। বর্তমানে ভারতীয় কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি কাঁচা মরিচ বাজারে তেমন সরবরাহ নেই। কারণ দেশি কাঁচা মরিচের দাম বেশি। ভোক্তারা বেশি দামে দেশি কাঁচা মরিচ কিনতে চায় না।হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করলে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আদানির অনুমতি দেয়। এখন পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিনটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। ফলে গতকাল শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৯টি ট্রাকে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। এর ফলে হিলি বাজারসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম।
Development by: webnewsdesign.com