হিলি স্থলবন্দরের ফুল বাগান সবার মন কেড়ে নিচ্ছে ছাড়াচ্ছে সৌন্দর্য

সোমবার, ০৭ মার্চ ২০২২ | ৫:০১ অপরাহ্ণ

হিলি স্থলবন্দরের ফুল বাগান সবার মন কেড়ে নিচ্ছে ছাড়াচ্ছে সৌন্দর্য
apps

সৌন্দর্যের প্রতীক ফুল। ফুলকে ভালোবাসে না লোক এমন পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভালোবাসা,পবিত্রতা আর শ্রদ্ধা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে ফুলের ব্যবহার হয়ে আসছে। ফুল দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। তাই অনেকেই শখের বসে বাড়ির আঙিনায় ফুলের বাগান করে থাকেন। তবে, সরকারি অফিস-আদালতে ফুলের বাগান সচরাচার চোখে পড়ে না। এক্ষেত্রে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দর একটু ভিন্ন। হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট এর ভিতরে প্রবেশ করলেই কাস্টমস ও পানামা পোর্ট অফিসের মাঝখানে চোখে পড়বে এক খণ্ড জমিতে ফুলের বাগান। বসন্তের আগমনে ছোট্ট বাগনজুড়ে ফুটে রয়েছে হরেক রকম ফুল।

সরজমিনে দেখা গেছে, ছোট্ট বাগানটিতে রয়েছে সহজে মানুষের মন কেড়ে নেওয়ার মতো গাধা, রজনীগন্ধা, সূর্যমুখী, সিলভিয়া, ডালিয়া, হলিহক, ঘাস ফুল, কয়েক প্রকার গোলাপ সহ বিভিন্ন প্রকারের ফুল গাছ। বাগানটি দেখভালের জন্য রয়েছেন দুজন মালি। হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করে চোখে পড়ে ফুল গাছ পরিচর্যা করছেন রফিকু উদ্দিন ও স্বপন। কেউ গাছে পানি দিচ্ছে কেউবা ফুলের গাছগুলিকে পরিচর্যায় ব্যস্ত

বাগানের পাশে এসে বন্দরের শ্রমিক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক এমনকি কাস্টমস ও বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কিছুক্ষণের জন্য হলেও ফুলের বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করেন। বন্দরের শ্রমিক আশরাফুল বলেন, বন্দরে প্রবেশ করার সময় ফুলের গাছগুলো দেখে খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে এসে দাঁড়ায়ে থাকি। এমনিতেই মনটা ভালো হয়ে যায়।

ফুল বাগনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী বলেন, আমরা কাস্টমসে সারাক্ষণ আমদানি রফতানির কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকি। যখনই একটু সময় পাই তখনই এ বাগানের পাশে এসে দাঁড়িয়ে থাকি বা ফোনে কথা বলি। মন জুড়িয়ে যায় তৃপ্তি পাই।

বন্দরে কর্মরত কয়েকজন সিকিউরিটি গার্ড বলেন, এ ফুলের বাগানটা হওয়ার পর থেকে আমরা সকলেই দেখাশোনা করে থাকি। কাউকে ফুল ছিঁড়তে দেই না। বাহির থেকে অনেকেই আসে ছবি তুলে আবার কেউ কেউ ফুল ছেঁড়ার চেষ্টা করে। আমরা তাদের বাধা দেই।

হিলি কাস্টমসের উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন, বন্দর অভ্যন্তরে ফুলের বাগানটি অনেক সৌন্দর্য বহন করছ। শোভাও ছড়াচ্ছে। ফুলের মৌ মৌ গন্ধ বেশ ভালো লাগে। বাগানটি দেখতে খুবই চমৎকার। আগে তো এই জায়গাটি গাছপালা দিয়ে ঢাকা ছিলো, এখন ফুলের বাগান হয়ে অনেক সৌন্দর্য ফিরে এসেছে।

এ বিষয়র স্থলবন্দরের (এটি আই) এস এম জোবায়ের বলেন, স্থলবন্দরে যোগদানের পর থেকেই দেখছি প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী বন্দরে আসেন। তাদের কথা ভেবে, তাছাড়া ফুলের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই বাগানটা করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। আমি আমার কাজের ফাঁকে অবসর সময়টুকু বাগানে সময় দেই। ফুলের বাগানটি দেখাশোনা করি। আমার খুবই ভালো লাগে।

Development by: webnewsdesign.com