হিজাব না পরার অভিযোগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইরানের নৈতিক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মাহশা আমিনি (২২)। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন বলে স্বীকার করেছে ইরান।
দাঙ্গার পর প্রথম নিহত হওয়ার এই সংখ্যার কথা জানিয়েছে দেশটি। তবে বিদেশি মানবাধিকারভিত্তিক সংগঠনের হিসাবে ইরানে নিহতের সংখ্যা ৪০০’র বেশি।
গতকাল শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে, ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি জানায়। তবে কতজন নিরীহ মানুষ মারা গেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে তা খোলাসা করেনি নিরাপত্তা সংস্থাটি।
ইরানের ইসলামী রেভুল্যশনারি গার্ডের শীর্ষ জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ বলেছেন, সম্প্রতি দাঙ্গায় ৩০০ জন ‘শহীদ ও নিহত’ হয়েছে। এর পরপরই ইরানের কর্তৃপক্ষ এ তথ্য প্রকাশ করলো। বিবৃতিতে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, যারা ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে’ জড়িত, ‘বিদেশি মদদদাতা সংগঠন’ এর সদস্যরা রয়েছে।
ইরানে জনসম্মুখে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দা পালনের নিয়ম রয়েছে। এই বিধিগুলো তদারক করার জন্য রয়েছে দেশটির ‘নৈতিকতাবিষয়ক’ পুলিশ। এই পুলিশের একটি দল, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে। আমিনি তার পরিবারের সঙ্গে তেহরানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আটকের পর মাহসা আমিনি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাহসা আমিনির। এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলন-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ইরানের ডজনখানেকের বেশি শহরে। খবর: আল-জাজিরা
Development by: webnewsdesign.com