মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে পরিযায়ী পাখি শিকারী চক্রের বিষ টোপে এক খামারির ৫০০ হাঁস মারা গেছে। এই ঘটনায় খামারের মালিক ছয় পাখি শিকারীকে চিহ্নিত করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে হাওরের বড়লেখা উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় চোরা শিকারী চক্র বিষ মিশ্রিত পাখি-খাদ্য ছিটিয়ে রাখে। পরদিন মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইসলামপুর গ্রামের দরিদ্র খামারি ইসলাম উদ্দিনের খামারের প্রায় ৫০০ হাঁস এই বিষ খেয়ে মারা যায়।ইসলাম উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তিনি হাঁসের খামার করেন। হাঁসগুলো প্রতিদিন সকালে তিনি হাওরের পলোভাঙ্গা বিলে ছেড়ে দেন এবং বিকেলে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার বিকেলে হাঁসগুলো আনতে গিয়ে দেখেন মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তার মধ্যে গুটিকয়েক হাঁস জীবিত।
এ ঘটনায় তিনি চিহ্নিত শিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন।স্থানীয়রা জানান, শীত মৌসুমে হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন বিলে পরিযায়ী পাখি আসে। এসব পাখি মারতে চোরা শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। প্রায় সবক’টি বিলে পাখি শিকারীদের দৌরাত্ম্য দেখা যায়। শিকারীরা বিকেলে হাওরের বিলগুলোতে বিষ জাতীয় দ্রব্য মিশ্রিত ধান ছিটিয়ে রাখে। রাতে পরিযায়ী পাখি খাবারের সন্ধানে বিলের পাড়ে এসে বিষ মিশ্রিত ধান খেয়ে মারা যায়। পরে শিকারীরা মৃত পাখি জবাই করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে দেয়।স্থানীয়রা আরও জানান, হাওরের প্রায় সব এলাকায় শিকারীদের দৌরাত্ম্য রয়েছে।
তবে বড়লেখা উপজেলার ইসলামপুর হাল্লা ও খুঁটাউরা এলাকায় সবচেয়ে বেশি পাখি শিকার হয়।বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক জাগো নিউজকে জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্তের জন্য মঙ্গলবার দুইজন এসআই (উপ-পরিদর্শক) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রকৃতপক্ষে কতোটা হাঁস মারা গেছে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্তসাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Development by: webnewsdesign.com