চার বছর দায়িত্ব পালনের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জিওফ অ্যালারডাইস পদত্যাগ করেছেন। নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) আইসিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
২০২০ সালে মানু সাহনি সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর অ্যালারডাইস দায়িত্ব নেন এবং ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে পূর্ণকালীন সিইও হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। আইসিসিতে ২০১২ সাল থেকে কাজ করা অ্যালারডাইস শুরুতে জেনারেল ম্যানেজার (ক্রিকেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ায় কাজ করেছেন।
আইসিসির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ক্রিকেটের বৈশ্বিক প্রসার এবং সদস্য দেশগুলোর জন্য একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক ভিত্তি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এক বিবৃতিতে অ্যালারডাইস বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। ক্রিকেটের বৈশ্বিক প্রসার থেকে শুরু করে আইসিসি সদস্যদের জন্য একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক ভিত্তি তৈরি করতে আমি গর্বিত।
তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো, যখন জয় শাহ আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, “জিওফের নেতৃত্ব ও প্রতিশ্রুতির জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী এগিয়ে নিতে তাঁর প্রচেষ্টা ছিল অসাধারণ। আমরা তাঁর ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।
জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে অ্যালারডাইসের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে ছিল—ডিআরএস নিয়ে বিসিসিআইয়ের উদ্বেগ কাটিয়ে এটিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানদণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, অবৈধ বোলিং অ্যাকশন যাচাই প্রক্রিয়া উন্নত করা এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে সুপার লিগ চালু করা।
২০২১ সালে সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় ক্রিকেট কোভিড-১৯ মহামারি থেকে বের হওয়ার কঠিন সময় পার করছিল। তাঁর অন্যতম বড় সাফল্য ছিল ক্রিকেটকে অলিম্পিক গেমসে অন্তর্ভুক্ত করা। এছাড়া, প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে আইসিসি বিশ্ব ইভেন্ট আয়োজন করাও তাঁর নেতৃত্বের অধীনে সম্পন্ন হয়।
আইসিসি জানিয়েছে, বোর্ড শিগগিরই নতুন সিইও নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। তবে অ্যালারডাইস চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন কি না, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।
Development by: webnewsdesign.com