চীনের উহান থেকে ফেরা শিক্ষার্থীদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় তাদের রাখা হয়েছে। হজ ক্যাম্পের একেকটি ফ্লোরের মেঝেতে তাদের অনেককে একসঙ্গে পাশাপাশি বিছানা দেওয়া হয়েছে। এমন ব্যবস্থাপনা দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন ফেরত আসা শিক্ষার্থীরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে ঢাকায় আসেন তারা। ৩১২ জন দেশে ফেরার পর জ্বর থাকার কারণে সাত জনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ।
চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তীব্র আকার ধারণ করায়, উহান থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ১৪ দিন পর্যন্ত রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় রাখা হবে। এ কারণে তাদের হজ ক্যাম্পে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
.উহান থেকে আসা এক বাংলাদেশি নাম প্রকাশ না করে টেলিফোনে বলেন, ‘চীনের উহানের পুরো শহর লকডাউন করা হয়েছে, যেন করোনা ভাইরাস না ছাড়ায়। আমরা চীনে এক রুমে ২-৩ জন থাকতাম। আর এখানে (হজ ক্যাম্পে) একটা খোলা ফ্লোরে একসঙ্গে ৫৫ জনকে রাখা হয়েছে। তাও আবার মেঝেতে বিছানা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এখানে প্রচুর মশা। স্বাভাবিকভাবে বসতেও পারছি না। দেশে এসে এমন পরিস্থিতি দেখতে হবে আশা করিনি। উহানেই তো ভালোই ছিলাম।’
উহান ফেরত আরেক বাংলাদেশি ইশান ইসলাম বলেন, ‘এখানে ব্যবস্থাপনা দেখে আমরা হতাশ। এভাবে গণরুমে একসঙ্গে থেকে আমরা আরও বেশি ঝুঁকিতে। এত লোক একসঙ্গে পাশপাশি থাকলে কারও যদি সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে বাকিরাও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।’
এর আগে চীন ফেরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রসঙ্গে আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছিলেন, ‘আশা করছি, এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত কেউ নেই। এরপরও আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। হজ ক্যাম্পে তাদের রাখা হবে। সেখানে আমাদের চারটি মেডিক্যাল টিম থাকবে। তাদের সেখানে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।’ স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর এসব শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরতে পারবেন বলেও তিনি জানান।
Development by: webnewsdesign.com