স্বাধীনতার ইতিহাসে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা এক কলঙ্কজনক অধ্যায়

মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ | ২:৩১ অপরাহ্ণ

স্বাধীনতার ইতিহাসে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা এক কলঙ্কজনক অধ্যায়
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
apps

২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়জুড়েই বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়। দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মম এ হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তিসংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করেন। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তারই আহ্বানে গোটা জাতি মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনে চূড়ান্ত বিজয়।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর-আল শামস বাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতি হারায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। যা জাতির স্বাধীনতার ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।

বুদ্ধিজীবীরা দেশ-জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির রূপকার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সৃজনশীল কাজ জাতীয় অগ্রগতির সহায়ক। জাতির বিবেক হিসেবে খ্যাত দেশের বুদ্ধিজীবীরা তাদের ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি, যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে পরামর্শ দেওয়াসহ বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে অবদান রেখেছেন। অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা গড়তে পারলেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে বলে জানিয়েছেন

এসময় রাষ্ট্রপতি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

Development by: webnewsdesign.com