স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক চলে গেলেন না ফেরার দেশে

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ১:৩৩ অপরাহ্ণ

স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক চলে গেলেন না ফেরার দেশে
apps

প্রাকৃতিক উপায়ে বালাইদমন তত্ত্ব উদ্ভাবন করে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত জেলা কৃষি অফিসার (সিটিএস) কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক আর নেই। তিনি রোববার বিকেলে বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও ডায়াবেটিক রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি বগুড়ার একটি হাসপাতালে তার কিডনি ডায়ালাইসিস চলছিল। এই অবস্থায় গত ২ জানুয়ারি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে প্রথমে শজিমেক হাসপাতালে ও পরে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রোগীর মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল। তাছাড়া কিডনি ঠিকমতো কাজ করছিলো না। তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ আর আমরা তাকে বাঁচাতে পারলাম না।

কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র আব্দুস সাকুর জানান, সোফায় বসে থাকা অবস্থায় তার স্ট্রোক হয়েছিল। সাথে সাথে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এনেছিলাম। এরপর আর তার জ্ঞান ফিরে আসেনি এবং শেষমেষ আমার বাবা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন পরপারে।

উল্লেখ্য, কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক দেশের নানা স্থানে কৃষি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একসময় তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান ধারণ ও উপস্থাপন করেছেন। ২০১০ সনে তিনি জেলা কৃষি অফিসার (সিটিএস) পদ থেকে অবসরে যান। এরপর তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। সর্বশেষ তিনি কাজিপুর সাহিত্য পরিষদ ও সচেতন নাগরিক সমাজের উপদেষ্টা ও কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। সেইসাথে সামাজিক বনায়ন ও সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ নামে কাজিপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান শুরু করেন। এছাড়া তিনি রেডিও সোনামুখী এফএম ৮৭.৬ নামের একটি রেডিও চ্যানেল চালু করেন। সেখানে তিনি নিয়মিত সংবাদ পর্যালোচনাসহ গঠনমূলক নানা অনুষ্ঠান প্রচার করতেন।

এছাড়া তিনি সোনামুখী অন্বেষা মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা। এই যাদুঘরকে তিনি নতুন পুরাতন নানা উপরণাদি সংগ্রহ করে সমৃদ্ধ করেছেন।

আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে সামাজিক সংগঠন ভয়েস অব কাজিপুরের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, কাজিপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম পলাশী, সাহিত্য পত্রিকা কৌমুদ এর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি ফজলুল হক মনোয়ার, রাজফুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাষক সাইফুল ইসলাম নাবিল, মুজিবপাড়া দুঃস্থকল্যাণ সংস্থা, মমতা ফাউন্ডেশন, কাজিপুর প্রেসক্লাবসহ নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান শোক প্রকাশ করেছে।

Development by: webnewsdesign.com