স্টোনিয়ারকে যুবাদের সংগ্রাম ছুঁয়ে গেছে

শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৫:১০ অপরাহ্ণ

স্টোনিয়ারকে যুবাদের সংগ্রাম ছুঁয়ে গেছে
apps

ফুটবলে দেখা যায় এমন কোচ। একটা ভালো শট থেকে গোল না পেলে কোচ ‘ইস’ ধ্বনি উচ্চারণ করেন। গোল হলে ফুটবলারদের সঙ্গে উল্লাস করে ওঠেন। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ফিটনেস কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রিচার্ড স্টোনিয়ারও অনেকটা ফুটবলের কোচের মতো। দল উইকেট পেলেই লাফিয়ে ওঠেন। চার মারলে করতালি দেন তিনি। ভালো ইনিংস খেললে উচ্ছ্বসিত হন।বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ফাইনালে ওঠার পেছনে ব্রিটিশ এই কন্ডিশনিং কোচের তাই ভূমিকা অনেকে। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান স্টোনিয়ার। কিন্তু এক বছর আগে প্রতিভাবান এই অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। তিনি এই সময়ে দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন। ‘এ’ দলের শ্রীলংকায় এশিয়া কাপের ফাইনালের সাক্ষী হয়েছেন। সাক্ষী হয়েছেন তরুণ এই ক্রিকেটারদের সংগ্রামের অনেকে গল্পেরও।

 

বিদেশি এই কোচিং স্টাফকে যা ছুঁয়ে গেছে।এই তরুণদের তাই ফাইনালে ওঠা প্রাপ্য ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। স্টোনিয়ার বলেন, ‘ছেলেরা সত্যি অসাধারণ খেলেছে। আমি তাদের জন্য গর্বিত। এই এক বছরে আমরা কতটা এগিয়েছি তা ভাবলে সত্যিই খুব ভালো লাগে। তারা যেভাবে পরিশ্রম করেছে। পরিবার ছেড়ে আছে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তটা ওদের প্রাপ্য ছিল ‘বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই কোচিং স্টাফের সদস্য বলেন, ‘মধ্যে আমাদের বাংলাদেশের ক্রিকেট অবকাঠামো এবং বয়সভিত্তিক দলের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে। কিন্তু এই ছেলেরা খুব পরিশ্রম করেছে।

 

যতটুকু সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে, তার পূর্ণ ব্যবহার করেছে। এই তরুণদের নিয়ে কাজ করাও শুরুতে ছিল কঠিন। কারণ তাদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। গ্রাম থেকে উঠে এসেছে তারা। এখানে খেলে দিন শেষে অর্জন কী, ভবিষ্যত কী সেটাও পেছনে ফিরে তাদের দেখতে হয়েছে।’
স্টোক অন ট্রেন্ট লাইভের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্টোনিয়ার বলেন, ‘ওরা এখানে খেলার জন্য যে ভাতাটা পাচ্ছে সেটাও দেশে গিয়ে ওদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য দিয়ে দিতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিদিন তারা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এক বছর আগে আমি বলেছিলাম, এই বালকদের আমি পরিণত করবো। সেমিফাইনালে জিতে প্রথমবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে ওরা ওদের শক্তির প্রমাণ দিয়েছে।’বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক এই দলের অংশ হতে পেরে স্টোনিয়ার তাই সম্মানিত বোধ করছেন বলে ওই সংবাদ মাধ্যমকে জানান। তিনি দলের সঙ্গে থাকা ১৫ জনের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা জানান। এছাড়া দেশে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আরও ২৪ জন ক্রিকেটার আছে। তাদের প্রতিও সম্মানের কথা জানান এই কন্ডিশনিং কোচ।

 

তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে, স্বপ্নটা শেষ পর্যন্ত সত্যি হবে। তারা অন্য কোচদের স্যার ডাকে। আমাকে বলে ভাই। তার মানে তারা আমাকে অনেক ভালোবাসে।’এই দলের ভালো করার পেছনে স্টোনিয়ারের অবদান আছে তা বেশ আগে থেকেই জনশ্রুত। কিন্তু একজন ফিটনেস কোচ হয়ে এমন কি করেছেন তিনি? যার কারণে হেড কোচ কিংবা ব্যাটিং-বোলিং কোচের চেয়ে বেশি উচ্চারিত নাম স্টোনিয়ার। নিজেই এর একটা ব্যাখ্যা দেন তিনি, ‘আমি তাদের ধারণা বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাদের মানসিকতা বদলানোর চেষ্টা করেছি। মাঠে এবং মাঠের বাইরে তারা মানসিকভাবে অনেক শক্ত। আমার দায়িত্ব স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচের দায়িত্ব পালন করা। কিন্তু আমার ক্রিকেট ব্যাকগ্রাউন্ড থাকায় অন্যান্য বিষয়েও তাদের সহায়তা করার চেষ্টা করি। অনুশীলনে আমি তাদের বন্ধু ও মেন্টরের ভূমিকায় থাকি।’

Development by: webnewsdesign.com