ভৈরবে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে বোনকে উত্ত্যক্ত করার বিচার চাওয়ায় তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে তিন ভাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত ৭টায় পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন: ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকার ডা. আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে হাসান মাহমুদ, উলি উল্লাহ ও আসাদুল্লাহ।পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করছে ডা. আবু বক্কর ছিদ্দিকের পরিবার। তার ছোট মেয়ে ভৈরবের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাসা থেকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত একই এলাকার কাজল মিয়ার ছেলে শিপন। রাস্তায় উত্ত্যক্তের ঘটনা বাসায় এসে পরিবারকে জানালে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে বিচার চাইলে তারা সালিশের একটি তারিখ নির্ধারণ করেন।
সালিশের কথা শুনেই শুক্রবার রাতে বখাটে শিপনসহ একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছিদ্দিকের বাসায় হামলা চালায়। এ সময় বাধা দিলে তারা ছিদ্দিকের ছেলেদের রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা খবর পেয়ে ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এ সময় বখাটেরা বাসাবাড়ি ও ফার্মেসিও ভাঙচুর করে।ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা হাজি আবু বক্কর ছিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, ‘স্কুলে যাওয়া-আসার পথে পাশের বাড়ির কাজল মিয়ার ছেলে শিপন প্রতিদিনই আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনা আমাকে জানালে আমি স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনের কাছে বিচার চাই।
তারা সালিশের তারিখ নির্ধারণ করেন। এরপরই শুক্রবার রাতে একদল বখাটে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হঠাৎ আমার বাসায় হামলায় চালায়। এ সময় বাধা দিলে তারা রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আমার তিন ছেলেকে গুরুতর আহত করে।’ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান তিনি।এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, স্কুল শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় বিচার চাওয়ায় তিন ভাইকে কোপানোর অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছেন বলেও তিনি জানান।
Development by: webnewsdesign.com