সূর্যমুখী ফুল চাষে লাভের স্বপ্ন বুনছেন কাজিপুরের কৃষক রায়হান

রবিবার, ১৪ মার্চ ২০২১ | ৬:৫৮ অপরাহ্ণ

সূর্যমুখী ফুল চাষে লাভের স্বপ্ন বুনছেন কাজিপুরের কৃষক রায়হান
apps

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের কৃষক আবু রায়হান চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে সূর্যমুখী ফুল চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি মাইজবাড়ী ইউনিয়নের পাইকরতলী গ্রামের একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি নিজ ১০ শতাংশ জমিতে এবছর সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। ইতোমধ্যেই ফুলের গাছে ফুল ধরেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তার জমিতে এক একটি ফুল যেন হাসি মুখে সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে। দিনের বেলায় হলুদ ফুলের সমারোহ আর সবুজ গাছের অপরুপ দৃশ্য সহজেই মন কেড়ে নেয়। এ সৌন্দর্য্য দেখার জন্য আশে-পাশের এলাকা থেকেও লোকজন আসে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রেজাউল করিম বলেন, অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে নতুন ফসল উৎপাদন ও ভাল দাম থাকায় এর সম্ভবনা অনেক বেশি এবং কিছু কিছু কৃষক এখন সূর্যমুখী চাষ করছেন। আগামীতে কৃষকদেরকে আরো সূর্যমুখী চাষ করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা, পরামর্শ, প্রনোদনা প্রদান করা হবে। কেননা এই ফসলের ভবিষ্যৎ অনেক সম্ভবনাময়। এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে কাজিপুরে কিছু কিছু জায়গায় কৃষকরা এই ফসল চাষ করেছে। প্রতিবিঘা জমিতে ৫/৬ মন বীজ উৎপাদন হয়। মাত্র ১০০-১২০ দিনের মধ্যে জীবনকাল শুরু ও শেষ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ০১ কেজি বীজ দিতে হয়। প্রতি সারি থেকে সারির দূরত্ব ২০ ইঞ্চি এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১০ ইঞ্চি রাখতে হয়।

কৃষকদের স্বাবলম্বী করতে ফুল চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যাতে তারা ভোজ্য তেলের চাহিদা পারিবারিকভাবে মিটিয়েও বাজারজাত করতে পারে। এ বিষয়ে কৃষক আবু রায়হান জানান, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা শাহীন আলমের পরামর্শক্রমে ১ম বার এই ফুলের চাষ করি, ফুলও সুন্দর ফুটেছে। তবে স্থানীয় ছেলেমেয়েরা ফুল ছিরে ফেলে এবং তুলে নিয়ে যায, সেই জন্য নেট দিয়ে ব্যাড়া দিয়েছি। অনেকে এসে ছবি তোলে আরো ফুলও তোলে। গতকালও মোটর বাইক নিয়ে এসে দুই জনের একজন মহিলা ফুলের সাথে ছবি উঠল এবং সে ফুল ছাড়া যাবে না পরে একটি ফুলও দিলাম।

তিনি আরো বলেন, যদি ঝড় বা শিলাবৃষ্টি না হয় তবে আমি আশানুরুপ ফলন পাব।

Development by: webnewsdesign.com