র্যাবের হেফাজতে মৃত্যুর পর নওগাঁর ভুমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়াকে আইনের অপব্যবহার হিসেবে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জেসমিনকে তুলে নেওয়া, র্যাব হেফাজতে মৃত্যু ও মামলার প্রক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘নওগাঁর ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কথা যদি বলেন, তাহলে একটা কথা পরিষ্কার করে বলি, সেটা হচ্ছে যে এই ভদ্রমহিলাকে যখন তুলে নেওয়া, তখন কিন্তু তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলা ছিল না।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ভদ্রমহিলার অবশ্যই দুর্ভাগ্য ও ট্র্যাজেডি যে, তিনি যখন মারা যান তখনো কিন্তু মামলা ছিল না। মামলা হয়েছে তার পরের দিন। তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি সিকিউরিটি অ্যাক্টের এখানে অপব্যবহার করা হয়েছে এবং মামলায় কোনো প্রসিড করা হয়নি।’
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ সকালে নওগাঁ সদরের নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে ৪৫ বছর বয়সী জেসমিনকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব। পরে গত শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর
র্যাবের দাবি, তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ছিল।
সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছিল। তবে স্বজনদের দাবি, নির্যাতনে জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। আর জেসমিনের মৃত্যুর পর তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের পরিচালক (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদা) এনামুল হক।
জেসমিনকে গ্রেপ্তার সংবিধান আইনের ব্যত্যয়
জেসমিনের শরীরে ‘আঘাতের একাধিক চিহ্ন’
জেসমিনের মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন
মামলার আগের দিন জেসমিনকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব
Development by: webnewsdesign.com