মৌলভীবাজারের বড়লেখায় তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন ও সহযোগী তরুণীর খালাতো ভাই সিএনজি চালক আলী আহমদ নামে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। অসুস্থ নানাকে দেখতে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকালে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আতুয়া এলাকায়। সন্ধ্যায় ধর্ষিতা তরুণী থানায় মামলা দায়েরে শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ পৃথকস্থান থেকে অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপির বাদেপুকুরিয়া গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে বাজার চৌকিদার দেলোয়ার হোসেন (২৫) ও উপজেলার চুকারপুঞ্জি গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে আলী আহমদ (১৮)। শনিবার দুপুরে পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণী বৃহস্পতিবার খালার বাড়ি বেড়াতে যান। রাতে খবর পান নানা অসুস্থ। নানাকে দেখতে শুক্রবার সকালে খালার বাড়ি থেকে নানার বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেন। শাহবাজপুর বাজারে আসার পর তরুণীর খালাতো ভাই সিএনজি চালক আলী আহমদের সিএনজিতে তুলে দেন। পথে সিএনজি চালক আলী আহমদ শাহবাজপুর বাজারের চৌকিদার দেলোয়ারকে সিএনজিতে উঠান। সিএনজিতেই দেলোয়ার তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে তরুণী গাড়ি থেকে নামার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সিএনজি চালকের সহযোগিতায় দেলোয়ার জোরপূর্বক আতুয়া এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন আসলে তরুণীকে রেখে ধর্ষক দেলোয়ার ও সহযোগী আলী আহমদ পালিয়ে যায়। নানা বাড়ি না ফেরায় খুঁজতে গিয়ে খালাতো ভাই ও স্থানীয় লোকজন আতুয়া এলাকা থেকে তরুণীকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় দুপুরে ধর্ষক দেলোয়ার ও সহযোগী আলী আহমদের বিরুদ্ধে ধর্ষিতা তরুণী থানায় মামলা করেন। পরে মামলায় অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বড়লেখা থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার শনিবার সন্ধায় জানান, তরুণী ধর্ষণের মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করাহয়েছে। ধর্ষিতা তরুণীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
Development by: webnewsdesign.com