বিশ্বনাথ উপজেলার ৩নং অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের বির্তকিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম রুহেলের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ রবিউল আলম বিকাল ২.৩০ মিনিটে র্দীঘ শুনানী শেষে নাজমুল ইসলাম রুহেলকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর নাজমুল ইসলাম রুহেল মনোকোপা গ্রামের মসজিদের মোতাওয়াল্লী মখলিছ আলী হত্যা মামলায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে মহামান্য হাইকোর্ট ৬ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে জেলা জজ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। বিগত ২৪ জুন মনোকোপা গ্রামের মখলিছ আলীর ভাই ইউ/পি সদস্য ফজলু মিয়ার সাথে প্রতিপক্ষের ভূমি নিয়ে বিরোধ ছিল। বিষয়টি মীমাংশার জন্য এক সালিশের আয়োজন করা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল সালিশ বৈঠকে না গিয়ে মারামারিতে উস্কে দেন। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ মখলিছ আলীকে হত্যা করে।
এঘটনায় চেয়ারম্যান রুহেলকে প্রধান আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে খুন, জালিয়াতি, নাশকতাসহ ১০/১২টি মামলা ছিল। বর্তমানে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা জজ ৪র্থ আদালতে একটি খুনের মামলা এবং অতিরিক্ত জেলা জর্জ ১ম আদালতে বিশেষ ক্ষমতায় আইনে মামলা এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে জালিয়াতির একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
চেয়ারম্যানের অন্যায় অত্যাচারে অতিষ্টিত হয়ে প্রতিবাদ সভা এবং বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনও করা হয়। জামিন শুনানীতে ছিলেন জেলা জজের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, বাদী পক্ষে ছিলেন এডভোকেট এএসএম গফুর, এডভোকেট শাহ মশাহিদ আলী, এডভোকেট সালেহ আহমদ হীরা, এডভোকেট মঞ্জুর এলাহী সামী।
আসামী পক্ষে ছিলেন, সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট রেজাউল করীম, এডভোকেট এটিএম ফয়েজ, এডভোকেট সোহেল চৌধুরী, এডভোকেট আতিকুর রহমান প্রমুখ।
Development by: webnewsdesign.com