রাত পোহালেই গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ভোট। মেয়ের পদে ভোট লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন ৪ প্রার্থী।ভোট লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকারিয়া আহমদ পাপলুর (মোবাইল ফোন) মার্কা। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রুহেল আহমদ (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন (ধানের শীষ), আওয়ামী বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক দুই মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল (জগ) জাকারিয়া আহমদ পাপলু (মোবাইল ফোন)।
পৌরসভার বেশ কয়েকজন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক দুই বারের মেয়র পাপলু সর্ব মহলে পরিচিত এবং এবারের ভোটযুদ্ধে তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। সব এলাকায় তার কমবেশি ভোট ব্যাংক রয়েছে। গত দুই নির্বাচনে পাপলু পরাজিত হলেও এ নির্বাচনে তার উনার বিজয়ের সম্ভবনা বেশি বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গিয়েছে,জাকারিয়া আহমদ পাপলুর মোবাইল ফোন প্রতীকের গন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে । সর্বস্থরের মুরব্বিরা তার পক্ষে শেষ সময়ে ভোটের মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। এ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দলমতের উর্ধ্বে ভোট পাবেন বলে মনে করছেন পাপলুর সমর্থকেরা।
এ নির্বাচনে আরেকজন হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমান মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল (জগ)। তিনিও এ নির্বাচনে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। তবে উনার ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ৪/৫ নং ওয়ার্ডে এবছর বিএনপির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন ভাগ বসাতে পারেন। এলাকার অভ্যন্তণীর কোন্দলের কারণে ৫ নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী পাপলু (মোবাইল ফোন) অনেক ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলীয় প্রার্থী রুহেল আহমদের পক্ষে জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কাজ করলেও তাকে নিয়ে তেমন কোনো আগ্রহ লক্ষ করা যায় না সাধারণ ভোটারদের মাঝে।অনেকেই বলছেন তিনি এ নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। উনার ভোট ব্যাংক বলে পরিচিত বৃহত্তর ফুলবাড়ি এলাকা সেখানে তার ভোটের ভাগ বসাতে পারেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী জাকারিয়া আহমদ পাপলু (মোবাইল ফোন)।রুহেল আহমদের পক্ষে পৌর আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ মাঠে ছিলেন না। তার পক্ষে কাজ না করার জন্য উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ওয়েছুর রহমানকে দল থেকে শোকজ করা হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভড়াডুবির সম্ভবনা-ই বেশি।
এদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া শাহীন ( ধানের শীষ) ভোটের যুদ্ধে পিছিয়ে আছেন। শত অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ আছে তিনি মানুষের সাথে সুন্দর করে কথাও বলেন না।গত নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষকে গালাগালি করার কারণে মানুষ তার উপর ক্ষিপ্ত।
সবকিছু মিলিয়ে মাঠ জরিপে বুঝা যাচ্ছে যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলুর (মোবাইল ফোন) সাথে বর্তমান মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল (জগ) এর দ্বিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আগামীকাল (৩০ শে জানুয়ারি) গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের ফলাফলের পরই জানা যাবে ভোটাররা কাকে পৌরসভা পরিচালনায় যোগ্য মনে করেছেন! এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল (৩০ জানুয়ারি) রাত ৮টা পর্যন্ত।
Development by: webnewsdesign.com