কঠোর লকডা্উনের ৫ম দিনে.........

সিলেটে ‘হাফ শাটার’ খোলে ব্যবসা, সড়কে যান ও মানুষ চলাচল বৃদ্ধি

মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১ | ৪:০৫ অপরাহ্ণ

সিলেটে ‘হাফ শাটার’ খোলে ব্যবসা, সড়কে যান ও মানুষ চলাচল বৃদ্ধি
apps

‘কঠোরতর’ লকডাউনের ৫ম দিনে যান ও মানুষজন চলাচলা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার লকডাউনের এদিনে নানা অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। মহানগরীর অনেক স্থানে দোকানের শাটার অর্ধেক (হাফ) খুলে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ অর্ধেকের তোয়াক্কা না করে পুরো শাটারই খোলা রাখছেন।

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গেল ২৩ জুলাই থেকে সিলেটসহ সারাদেশে দুই সপ্তাহের ‘কঠোরতর’ লকডাউন আরোপ করেছে সরকার।

লকডাউনের প্রথম দু-তিনদিন সিলেটে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা ছিল হাতেগোণা। মানুষের আনাগোনাও ছিল একেবারেই কম। কিন্তু গত  রোববার থেকে ধীরে ধীরে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। চলাচল বেড়েছে মানুষের। খোলা হচ্ছে দোকানপাট। সেই ধারা অব্যাহত আছেও আজ মঙ্গলবারেও।

আজ সকাল থেকে দুপুর অবধি সিলেট মহানগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, লামাবাজার, জেলরোড, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট, মহাজনপট্রি, কাজিরবাজার প্রভৃতি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের বিধিনিষেধ ভেঙে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে মানুষ। তাদের অনেকের মুখেই নেই মাস্কও। বিশেষ করে অলিগলিতে তরুণ-যুবকদের আড্ডা দিতে দেখা গেছে। অনেক গলিতে চায়ের টং দোকান খোলা রাখা হয়েছে।

নগরীর সড়কে যানবাহনের চাপও প্রত্যক্ষ করা গেছে। ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারের সাথে সিএনজি অটোরিকশার দাপট বাড়ছে সড়কে। একইসাথে রিকশা চলছে অবাধে।

এদিকে, দক্ষিণ সুরমা এলাকা, বন্দরবাজার ও মহাজনপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকায় কাপড়চোপড়, ইলেকট্রিক পণ্যের দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে কাপড়ের অনেকগুলো দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, লকডাউন বাস্তবায়নে তারা মাঠে কাজ করছেন। যারা অযথা বাইরে বের হচ্ছেন, তাদেরকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জরিমানা করা হচ্ছে। প্রতিদিন অপ্রয়োজনে বের হওয়া যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে, যানবাহন আটক করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ খুবই তৎপর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য কোনো দোকানপাট খোলা যাবে না, এটা স্পষ্ট বলা হয়েছে বিধিনিষেধে। কেউ খোলা রাখলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

Development by: webnewsdesign.com