সিলেটে বিধবা নারীকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ

সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০ | ৬:৪০ অপরাহ্ণ

সিলেটে বিধবা নারীকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ
apps

মরণব্যাধি এইডসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন স্বামী। তার সংস্পর্শে এসে নিজে এবং তার একমাত্র সন্তানও এখন এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়ছেন। সেই সঙ্গে সইতে হচ্ছে শাশুড়ি দেবর ও জা’র নির্যাতন। স্বামীর মৃত্যুর পর এখন এক সময়ের আপনজনদের নিষ্ঠুরতায় তাদের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়নের টিল্লাবাড়ির মৃত কাওসার আহমদের স্ত্রীর।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী নারী তুলে ধরেন তার ওপর নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র।

তিনি বলেন, আমি বিধবা। একমাত্র সন্তানসহ আমি এইডস-এ আক্রান্ত। দানশীল মানুষের সহযোগিতায় কোনরকমে দু’মুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। আমার স্বামী মারা যাবার পর থেকে তাঁর মা, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর কর্তৃক আমি শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে থাকি। আমাকে স্বামীর ভিটে-মাটি ছাড়াতে তারা উঠে পড়ে লাগে। এ বিষয়ে আমি গ্রাম্য সালিশে বিচার প্রার্থী হই। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি, আমাকে নির্যাতনকারী আমার স্বামীর পরিবারের লোকজন বিচার মানে না। তাঁরা হুমকি দিয়ে বলে আমার স্বামীর কোনো কৃষি জমি নেই, নেই কোনো সহায় সম্পত্তিও। একপর্যায়ে তারা সন্তানসহ আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেই।

অসহায় এই নারী স্বামীর ভিটে মাটি ফিরে পেতে বিভিন্ন মহলে ধর্না দিয়েছেন। আইনি অধিকার পেতে অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানায়। অভিযোগে দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়নের টিল্লাবাড়ির মো. মনফর আলীর ছেলে মো. জসিম উদ্দিন, মো. ফয়ছল আহমদের স্ত্রী রুবিনা বেগম, মৃত মিম্বর আলীর ছেলে মো. ফয়ছল আহমদ, মৃত মিম্বর আলীর স্ত্রী জমিলা খাতুন (৬৫)-এর নাম উল্লেখ করে আসামি করেছেন।

চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারিতে থানায় অভিযোগ দায়েরের ৯ মাস পাড়ি দিলেও রহস্যজনক কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মামুন মিয়া নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এই নারী। শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার এই বিধবা সন্তানকে বুকে নিয়ে জীবনের শেষ দিনগুলো স্বামীর ভিটায় কাটাতে চান। সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় চান ন্যায় বিচার এবং স্বাভাবিক বেঁচে থাকার অধিকার।

Development by: webnewsdesign.com