লকডাউন চলাকালে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে ৩ জনের পরিবর্তে ৫ জন বহন করেও যাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ‘গলাকাটা’ ভাড়া আদায় করেছেন সিলেটের সিএনজি অটোরিকশা চালকরা।
এখন নেই লকডাউন, তাই সিলেটে এবার অটোরিকশা চালকরা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে যাত্রীদের হয়রানি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।
বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরের ঘটনা। সিলেট নগরীর বন্দরবাজার থেকে মদিনা মার্কেট যাবেন বেসরকারি চাকরিজীবী জুনেদ আহমদ। অটোরিকশায় ওঠতে গেলেই চালক ভাড়া ২৫ টাকা হবে বলে জুনেদকে জানান। ১৫ টাকার জায়গায় ২৫ টাকা কেন জানতে চাইলে চালক জুনেদকে বলেন, করোনার সময়ে পুলিশ ৫ জন নিলেই ৩ হাজার টাকার মামলা দেয়। তাই বাধ্য হয়ে আমরা ৩ জন বহন করি এবং অতিরিক্ত ভাড়া নেই।
করোনাকালীন ৩ জন বহনের বিধি-নিষেধ তো এখন আর নেই, তবে বাড়তি ভাড়া কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জুনেদ আহমদকে চালক বলেন, ‘আমরা অতশত জানি না ভাই, ৫ জন নিলেই পুলিশ মামলা দেয় তাই আমরা ৩ জন নিয়ে ভাড়াও বাড়তি নেই।
শুধু জুনেদই নন, এমনভাবে প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্তি টাকা আদায় করছে সিলেট মহানগরীর প্রত্যেকটি রাস্তায় চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা।
কিন্তু সিলেটের অটোরিকশা চালকরা করোনা আর পুলিশের দোহাই দিয়ে যাত্রীদের হয়রানি করলেও পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা।
অটোরিকশা গণপরিবহনই নয় এবং এতে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনের কোনো নিয়ম নেই উল্লেখ করে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) জৌতির্ময় সরকার পিপিএম বলেন, সিএনজি অটোরিকশা তো গণপরিবহন নয়। এটি প্রাইভেট চলবে। তাছাড়া তাদের সামনে গ্রিল লাগানো থাকবে। আইন অনুযায়ী- চালকের পাশাপাশি সামনের সিটে কোনো যাত্রী বসানো যাবে না। বিভিন্ন আইনি কারণেই তাদেরকে ৩ জনের বেশি যাত্রী বহন করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং যে অটোরিকশা চালকরা সে আইন লঙ্ঘন করছে তাদের মামলার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা বা পুলিশের দোহাই দিয়ে যে তারা যাত্রীদের হয়রানি করছে এ বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এটি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সিলেটে চালকদের ‘নৈরাজ্য’ নিয়ে বক্তব্য জানতে সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়াকে পাওয়া যায়নি।
Development by: webnewsdesign.com