সিলেটের জৈন্তাপুরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন: হুমকীর মূখে বেড়ী বাঁধ ও কবরস্থান

বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২০ | ৬:০৯ অপরাহ্ণ

সিলেটের জৈন্তাপুরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন: হুমকীর মূখে বেড়ী বাঁধ ও কবরস্থান
apps

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বড় নয়াগাং নদীর পাড় কেটে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি বালু খেকু চক্র। ফলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন প্রকল্পের বেড়ী বাঁধ ধংসের মুখে পড়েছে এবং গ্রামবাসীর করস্থান ভাঙ্গনের দেখা দিয়েছে। প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ হতে উপজেলা নির্বাহী ও পুলিশ প্রশাসন কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের।

লক্ষীপ্রসাদ, লক্ষীপ্রসাদ হাওর, রুপচেং ফেরীঘাট বাসীর আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বড়নয়াগং নদীর খেয়াঘাট নামক এলাকার নদীর মধ্যেভাগ রেখে নদীর দুই পাড় কেটে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। বর্ষার সময়ে বড়নয়াগাং নদীর প্রবল বর্ষনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সারী-গোয়াইন প্রকল্পের বেড়ী বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার আশু সম্ভাবনা রয়েছে।

সরজমিন ঘুরে দেখা যায় প্রভাবশালী বালু খেকু চক্রের সদস্য ছিফত উল্লাহ উরফে কুড়কুড়ি মোল্লা, মোঃ রফিক আহমদ, মোঃ আমিন আহমদ, ট্রাক চালক ফয়জুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, কবির আহমদ, শেখর বাবু, আলমাছ উদ্দিন, মিসিরাই মিয়া, বতাই মিয়া, কুটি মিয়া, মিজানুর রহমান, বশির আহমদ উরফে বস্তা বশির এর নেতৃত্বে নদীর পাড় কেটে এবং পানি উন্নয়ন বেড়ী বাঁধের পাড় কেটে ৩০-৪০ ফুট গভীর হতে বালু উত্তোলন করছে।

সরেজমিনে অভিযুক্ত ছিফত উল্লাহ উরফে কুড়কুড়ি মোল্লা ও মিসিরাই মিয়া জিজ্ঞাসাবাঁধ করলে তারা নদীর পাড় কাটার সাথে জড়িত নয় বলে জানান অন্যরা নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন করেছে। আমরা লিজ নিয়ে বড়নয়াগাং নদী হতে বালু উত্তোলন করছি। লিজের কাগজপত্র দেখতে চাইলে উপস্থিত দেখাতে পারেন নাই। বড়গাং ও সারীগাং নদী আদালতের নিষেদাজ্ঞা থাকায় সরকার ইজারা বাতিল রেখেছে প্রশ্ন করা হলে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। নদীর মধ্যে অংশের পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বেড়ী বাঁধের পাড় কেটে বালু উত্তোলনের ফলে আগত বর্ষার পাহাড়ী ঢলের ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে লক্ষীপ্রসাদ, লক্ষীপ্রসাদ হাওর, রুপচেং, ফেরীঘাট, লামনীগ্রাম, ভিত্রিখেল, ভিত্রিখেল ববরবন্দ সহ ১০-১৫টি গ্রামের বসতবাড়ী, ফসলী জমির ক্ষতি সাধিত হবে বলে আশংঙ্কা রয়েছে।

ইতোপূর্বে ১৯৮৮সনের পাহাড়ী ঢল ও আকস্মীক বন্যায় এই বেড়ী বাঁধের ভিবিন্ন অংশে ভাঙ্গনের ফলে অত্রাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয় বলে উল্লেখ করেন বাঁধের ভিতরে বসবাসকারীরা। তারা আরও জানান রাত হলে ৩টনা ট্রাক, ডিআই ট্রাক, পিকআপ যোগে রাত ভর বালু নিয়ে যাচ্ছে চক্রটি। এদিকে বাঁধের তীরবর্তী ও ভিতরের বাসিন্ধারা অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের হাত থেকে নদীরপাড়, কবরস্থান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাঁধ রক্ষার দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এবিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি লুসিকান্ত হাজং জানান, বড়গাং নদী হতে বালু উত্তোলনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমরা কাউকে লীজ দেইনি। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম কেউ এখনও লিখিত অভিযোগ নিয়ে অসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Development by: webnewsdesign.com