সিলেটের এমসি কলেজে গণধর্ষণ, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ‘সিলগালা’

সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০ | ৪:৪৭ অপরাহ্ণ

সিলেটের এমসি কলেজে গণধর্ষণ, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ‘সিলগালা’
apps

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অধ্যক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।তবে প্রতিবেদনটি আপাতত সিলগালা করে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সালেহ আহমদ।

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রাবাসে অবৈধভাবে বসবাসরত ছাত্রলীগের কর্মী ছয়জনসহ আরো দুইজন জড়িত অভিযোগে মামলা হয়। অভিযুক্ত এই আটজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ধর্ষণকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। ঘটনা তদন্তে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৭ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

ঘটনা তদন্তে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৭ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির দুই জন সদস্য হিসেবে ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক (হোস্টেল সুপার) মো. জামাল উদ্দিন ও জীবনকৃষ্ণ ভট্টাচার্যকে সদস্য রাখা হয়।

৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশনা ছিল। ছাত্রাবাসের দুই জন তত্ত্বাবধায়ক কমিটিতে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠলে ওই দুই সদস্য অব্যাহতি নেন। পরে তদন্ত কমিটিতে কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিভূতিভূষণ রায়কে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

তদন্ত কমিটি সূত্র জানায়, দুই জন সদস্যকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে তদন্তের জন্য ৭ কার্যদিবস থেকে বাড়িয়ে আরো ৫ কার্যদিবস সময় নেয়া হয়। ১২ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

কলেজ অধ্যক্ষ মো. সালেহ আহমদ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন এই মুহূর্তে প্রকাশ করলে ওই দুটি তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার শঙ্কা থাকতে পারে। তাই আমরা কলেজের তদন্ত প্রতিবেদনটি সিলগালা করে রেখেছি।

অধ্যক্ষ বলেন, ‘অবশ্যই তদন্তের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন থেকে পরামর্শগুলো নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করার ইচ্ছা আছে আমাদের। অন্যান্য তদন্ত শেষ হলেই কলেজের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলা যাবে।

Development by: webnewsdesign.com