সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত সু-লেখক মরহুম ফারুক আহমেদ চৌধুরীর (আজ ৪ জানুয়ারি) জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘ ঢাকাবাসী সংগঠন’র উদ্যোগে সকাল ৯টায় মরহুমের আজীমপুরস্থ কবরস্থানে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং ঢাকাবাসী সংগঠন কার্যালয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ঢাকাবাসীর সভাপতি মোঃ শুকুর সালেকের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সাথী নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি ও অভিনেতা লুৎফর আহসান বাবু, ঢাকা রাইটার্স ফোরামের সভাপতি হুমায়ূন আহম্মেদ মন্টু, ঢাকা ৪০০ বছর উদযাপন পরিষদের সভাপতি শেখ খোদা বক্স- চিত্রশিল্পী জুনায়েদ আহম্মেদ মানি, কবি সালাউদ্দিন বাবুল, শাহীন পারভীন। বক্তারা, বিশ্ব বরেণ্য কুটনৈতিক, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সমাজ সেবক, যোগ্য মানুষ, মরহুম ফারুক আহম্মেদ চৌধুরীকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পদক দিয়ে যথাযথভাবে সম্মান জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান।
নাট্য অভিনেতা লুৎফর আহসান বাবু বলেন, ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী একজন মেধাবী ছিলেন, ছোটবেলা থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি শিল্প সাহিত্যের সংস্কৃতি ও ক্রিড়া ক্রিড়াঙ্গনে জড়িয়ে পড়েন, বন্ধু প্রিয় মানুষটি আজীবন মানব সেবায় কাজ করেছেন, ব্রিটিশ শাষন তাকে আটকাতে পাড়েনি। পাকিস্তানিদের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে তিনি দেশের মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করেছেন। বিশ্ব মানবতা ও বিশ্ব শান্তির লক্ষে ছুটেছেন বিশ্বের এক প্রাপ্ত থেকে অন্য প্রান্তে। সহজ সরল সাদামাটা সাদা মনের মানুষ এই কুটনৈতিকের পরামর্শ, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, ভাষাশৈলী, দেশপ্রেম মানবকল্যান ইত্যাদিতে বিশ্ব কল্যানে বিশাল অবদান রেখেছেন।
ঢাকাবাসীর সভাপতি, মোঃ শুকুর সালেক বলেন- ফারুক আহম্মেদ চৌধুরীর লেখার মধ্যে বাংলা সাহিত্যের এক নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে। ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী আজ জীবত আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু নানা কারণে তিনি মরেও বেঁচে আছেন। পরকে আপন করে নেয়ার জাদু জানতেন। সেই কারণেই দেশ বাসী আজীবন তাকে শ্রদ্ধার ভরে স্মরণ করবে।
কবি সালাউদ্দিন বাবুল বলেন, আমাদের দেশের পররাষ্ট্রনীতির মৌল ভিত্তিটি সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে ফারুক আহম্মেদ চৌধুরীর অবদান ছিল। বিশেষত বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতিকে ফলপ্রসু করে তোলার ক্ষেত্রে তার আন্তরিকতা ছিল অফুরন্ত।
ঢাকা রাইটার্স ফোরাম এর সভাপতি হুমায়ুন আহম্মেদ মন্টু বলেন, ১৯৭৫ সালে সর্বশেষ বিদেশ সফরে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সাথে গিয়েছিলের জ্যামাইকার কিংস্টানে। সেই সান্নিধ্যের স্মরণীয় মুহুর্তগুলো চিরদিন স্মৃতিতে আম্লান হয়ে ছিল ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী। একজন সাধারণ কুটনীতিবিদের পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে তা ছিল বিরল সৌভাগ্য।
Development by: webnewsdesign.com