শীতকালীন সংসদ অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাইকে এক সময় চলে যেতে হবে। কিন্তু অকাল মৃত্যু সবসময় সবাইকে কষ্ট দেয়। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইউনুস আলী সরকারের মৃত্যুতে সংসদে আনীত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনুস আলী সরকার ছাত্র রাজনীতি থেকে ওঠে এসেছেন। তিনি এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিতেন এমনকি ওষুধও কিনে দিতেন। এমন মানবপ্রেমী মানুষটি এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবেন ভাবতে পারি না।
তিনি বলেন, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী যুব মহিলা লীগের সদস্য ছিলেন। ভবিষ্যতে তার উজ্জ্বল নেতৃত্বের সম্ভাবনা ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা মোকাবিলায় তিনি সবসময় সক্রিয় ছিলেন। তার অকাল মৃত্যু মেনে নেয়া কঠিন।
প্রধানমন্ত্রী তার সামরিক সচিব মিয়া জয়নুল আবেদীন ও শায়খুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলীকে স্মরণ করে বলেন, কওমি মাদরাসার সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে দুজনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদের কথা স্মরণ করে মৃত্যুর আগে তিনি দেখা করতে গিয়েছিলেন জানিয়ে বলেন, তিনি বলেছিলেন তিনি আর বেশিদিন হয়তো বাঁচবেন না। সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি একজন অমায়িক লোক ছিলেন। আমি প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর তাকে অনুরোধ করে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিয়েছিলাম। তিনি বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।
এছাড়া শোক প্রস্তাবের আলোচনায় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, আওয়ামী লীগের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তোফায়েল আহমেদ, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গা অংশ নেন।
Development by: webnewsdesign.com