সদ্য সমাপ্ত ঢাকা সিটি নির্বাচনে ৯টি রাজনৈতিক দলের ১৩ প্রার্থীর মধ্যে সাতটি দলের ৯ জনের জামানত বাতিল হয়েছে।
দুই সিটি ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালায় নির্ধারিত ভোট সংখ্যার চেয়ে কম ভোট পাওয়ায় নয়জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
সিটি নির্বাচনের ৪৪ (৩) বিধিতে বলা হয়েছে- ভোটগ্রহণ বা ভোটগণনা সমাপ্ত হওয়ার পর যদি দেখা যায় যে, কোনো প্রার্থী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন, তাহলে ওই প্রার্থীর জামানতের টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।
ঢাকা উত্তর সিটিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ছয়টি দল অংশগ্রহণ করে। এ সিটিতে ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ১২ হাজার ৫০৯ জন। নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৭ লাখ ৬২ হাজার ১৮৮ ভোটার। যার আট ভাগের এক ভাগ হলো ৯৫ হাজার ২৭৪ ভোট।
সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ২০ লাখের বেশি ভোটার থাকায় প্রার্থীদের জামানত রাখতে হয়েছিল এক লাখ টাকা। জামানত হারানো মেয়র প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও আবদুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিসুর রহমান দেওয়ান ও বাহারানে সুলতান বাহার, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির প্রার্থী শাহীন খান, গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ।
উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোট। আর প্রতিদ্বন্দ্বী তাবিথ আউয়াল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট।
অন্যদিকে, দক্ষিণ সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যরিস্টার ফজলে নূর তাপস নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট। আর বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই সিটিতে ১২৯টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৪৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাড়ে সাতশ প্রার্থী। এদের মধ্যে কোন কোন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন তার তালিকা তৈরি করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার। শিগরগিরই কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যেও জামানত হারানোরদের নাম জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
Development by: webnewsdesign.com