শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চান্স পেল গোদাগাড়ীর নাফিসা

রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২ | ১:৪০ অপরাহ্ণ

শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চান্স পেল গোদাগাড়ীর নাফিসা
apps

২০২১-২২ সেশনের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী মোসাঃ নাফিসা জিন্নাহ ঢাকার শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে।

সে মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে পাস করার পর রাজশাহী কলেজে থেকে এইচএসসিও জিপিএ ৫ পেয়েছিল। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে প্রকাশিত ফলাফলে এমন তথ্য জানা গেছে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নাফিসা বলেন, আমি এই ফলাফলের যোগ্য ছিলাম না, সৃষ্টিকর্তা হয়তো আমাকে এই জায়গায় যোগ্য মনে করেছেন। রেজাল্ট শোনার পর কৃতজ্ঞতা স্বরুপ তাঁর কাছে দোয়া করেছিলাম। আমার এ ভাল ফলাফলের জন্য বাবা, মা, স্কুল, কলেজ শিক্ষকসহ রয়েল কোচিং এর বড় ভাইদের অবদান বেশী।

আমার রেজাল্ট শোনার পর মা-বাবা দুজনই খুশি হয়েছেন। বেশি খুশি হয়েছেন বাবা। আমি যখন হতাশ হয়ে যাই, তিনি সান্ত্বনা দেন। নাফিসার বাবা গোদাগাড়ী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইসহাক আলী বিশ্বাস। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার মেয়েটি অত্যন্ত মেধাবী ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে রাজশাহী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছিল। কিন্ত তাকে সেখানে ভর্তি করিনি। প্রধান শিক্ষিকা ভর্তি করার জন্য কয়েকবার ফোন করেছিলেন এবং বিভিন্নভাবে অনুরোধ করেছিলেন। তার পরেও ভর্তি করা হয় নি। কারণ আমাদের হাতে তৈরী করা মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলী নিকট মেয়েকে তুলে দিয়ে সে দিন বলেছিলাম তুমি স্কুল টি যেভাবে দেখভাল করছো, আমার খুব ভাল লাগছে একদিন নফিসা আমার মেয়ে ডাক্তার হবে ইনশাল্লাহ। এভাবে কয়েকজন চিকৎসক, প্রকৌশলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়ে দেশের মুখ উজ্জল করবে। যখন তখনই আমাদের স্কুল করা স্বার্থক হবে বলে মনে করবো।

মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলী বলেন, নাফিসা অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিল, পড়া মুখস্ত করতে ভাল পারতো। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় স্বল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন রচনা মুখস্ত করে লিখে উপজেলা পর্যায়ে পুরস্কার পেত। সে বিদ্যালয়ে পর পর ২ বার বিশাল ভোটের মাধ্যমে শ্রেষ্ট ছাত্রী নির্বাচিত হয়েছিল। নিয়মিত স্কুল আসতো। বাঁশের বেড়া দেয়া এ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাহমিদা খাতুন উর্মি মেডিকেল পরীক্ষায় সারা দেশে পঞ্চম হয়েছিল। সে ঢাকা মেডিকেলে পড়ছে। তার উদাহরণ আমি ও শিক্ষকেরা দিতেন। তারাই ধারাবাহিকতায় নাফিসার এ ফলাফল। তার জন্য শুভকামনা রইল। সে পরীক্ষা দেয়ার আগের দিন ফোন করে আমার কাছে দোয়া নিয়েছিল। ফলাফল পাওয়ার পর আমাকে ফলাফল জানিয়েছিল। তার বাবা ও মা ও আমাকে ফোন করেছিল।

এ বছর এক লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৭৯ হাজার ৩৩৭ জন। পাসের হার ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ
এর মধ্যে পাস করা ছেলের সংখ্যা ৩৪,৮৩৩ জন (৪৩.৯১%) এবং মেয়ের সংখ্যা ৪৪.৫০৪ জন (৫৬.০৯%)।
সরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগ প্রাপ্ত ছেলের সংখ্যা ১৮৮৫ জন (৪৪.৫৬%), মেয়ে ২৩৪৫ জন (৫৫.৪৪%)।

Development by: webnewsdesign.com