লেবাননের তিনটি রাজনৈতিক সূত্র জানায়, মার্কিন-সমর্থিত লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন, জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের সময় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের উপর রাষ্ট্রের একচেটিয়া কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আউন শিগগিরই হিজবুল্লাহর সাথে তার অস্ত্রাগার নিয়ে আলোচনা শুরু করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
গত বছর ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ এবং হিজবুল্লাহর সিরিয়ার মিত্র, সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতিতে, ক্ষমতার ভারসাম্য বিপর্যস্ত হওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণের আলোচনা তীব্র হয়েছে। ২০২৪ সালে ইসরাইলের সাথে সংঘাতের পর হিজবুল্লাহ মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, যখন এর শীর্ষ নেতা এবং হাজার হাজার যোদ্ধা নিহত হন এবং এর বেশিরভাগ রকেট অস্ত্রাগার ধ্বংস হয়ে যায়।
হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশলের প্রেক্ষাপটে তাদের নিরস্ত্র করা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত তারা, তবে এটি দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি পাহাড়ের চূড়া থেকে ইসরাইলের সৈন্য প্রত্যাহারের উপর নির্ভরশীল। তবে হিজবুল্লাহর মিডিয়া অফিস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এদিকে, যুদ্ধের সময় দক্ষিণ লেবাননে স্থল সেনা পাঠিয়েছিল ইসরাইল। মূলত তারা সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে পাঁচটি পাহাড়ি অবস্থান ত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরাইল। তারা বলেছে যে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূল হলে লেবাননের সেনাদের কাছে সেগুলো হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করছে তারা।
নভেম্বর থেকে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও, ইসরাইলি বিমান হামলা গোষ্ঠীর উপর চাপ বজায় রেখেছে। যখন ওয়াশিংটন হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের দাবি জানিয়েছে এবং হিজবুল্লাহর ইরানি সমর্থকদের সাথে পারমাণবিক আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়াশিংটন।
সৌজন্যে: রয়টার্স
Development by: webnewsdesign.com