সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঠিক পশ্চিম-পূর্ব পাশে তৈরি করা হয়েছে খোলা মঞ্চ। এর সামনে লাল কার্পেট বিছানো হয়েছে। সেখানে শতাধিক চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে অতিথিদের বসার জন্য। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ‘ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা।
শাহবাগ ও আশপাশ দিয়ে হেঁটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছে মানুষ। টিএসসি এলাকা লোকে লোকারণ্য। তাদের হাতে নানা প্ল্যাকার্ড রয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে বাংলামোটর এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এদিকে সাধারণ জনতার ব্যানারে কেরানীগঞ্জ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নীলক্ষেত দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সমাবেশস্থলের দিকে এগিয়ে গেছে। এ সময় তারা ‘ইসরাইলের পণ্য বয়কট বয়কট’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে ভালোবাসা, তাদের পাশে থাকা মুমিনের ঈমানী দায়িত্ব – হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী
নীলক্ষেত মোড়ে ‘মার্চ ফর গাজা সমাবেশে’ আসা মানুষের জন্য শরবতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তীব্র গরমে মানুষ যাতে শরবত পান করে কিছুটা স্বস্তি পান সেই লক্ষ্যে কয়েকজন মিলিতভাবে শরবতের ব্যবস্থা করেন। এ সময় একটি পিকআপ থেকে সমাবেশে যোগ দিতে মানুষদের শরবত দিতে দেখা যায়।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দল, সংগঠন এবং ইসলামি বক্তাসহ বিভিন্ন পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে রাজধানীর আশপাশের এলাকা থেকেও এসে যোগ দিচ্ছেন মানুষ।
আরও পড়ুন: বিলিয়ন রুপির বিয়ে!
এদিকে এই জমায়েত ঘিরে উদ্যানের আশপাশে জমে উঠেছে পতাকা, মাথার ব্যাজ ও টি-শার্ট বিক্রি। এ সময় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অনেককেই স্লোগান দিতে দেখা যায়। এদিন বিকাল তিনটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েত করার কথা রয়েছে।
শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত এই ‘মার্চ’ হওয়ার কথা ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেলা তিনটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েত হবে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে যাত্রা করা হবে না।
মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছে বিএনপি। এই কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বিএনপি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
Development by: webnewsdesign.com