হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকট থাকার কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান লাখাই উপজেলায় ৭২ টি বিদ্যালয় ও একটি বেসরকারী বিদ্যালয় রয়েছে এ উপজেলায় ৪শত শিক্ষক / শিক্ষিকা তন্মধ্যে ১শত ৫০জন শিক্ষক এবং ২শত ৫০ জন শিক্ষিকা রয়েছে। তিনি আরো জানান এ উপজেলা কামালপুর সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় জিরুন্ডা সঃপ্রঃবিদ্যালয় ও তেঘরিয়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় (২) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য এবং সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য ২৫টি।
মজনুর রহমান কে ছাত্র/ছাত্রী ঝঁরে পড়ছে মর্মে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন করোনা ভাইরাসের কারনে অনেক ছাত্র/ছাত্রী ঝঁরে পড়ছে ঠিকই তবে নিয়মিত বিদ্যালয় খোলা থাকলে ঝরে পড়াদের পূনরায় সম্পৃক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত আছে লাখাই উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সুহাইল আহমেদ সিংহগ্রাম ইয়াছিনায়া মাদ্রাসার মুহতামিম ও তৎসংলগ্ন মসজিদের খতিব কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান আমার পোস্টিং গুনিপুর সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়ে। তবে ডেপুটেশনে শিক্ষা অফিসে ৫ বছর যাবত কর্মরত আছি।
অপর দিকে ভাদিকারা আদর্শ সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আক্তার ফারুক জানান, আমার বিদ্যালয়ে ১৩ টি বিষয়ে শিক্ষাদান করতে হয়। কারন আমার বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা ৬ শত ৩২ জন কিন্তু ৩ বছর যাবত ২টি পদ শূন্য অনেকবার চিঠি চালাচালি করেও শূন্য পদ পূরন করতে পারি নাই এ ব্যাপারে ঔ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান।
সরকারী ভাবে কোন শিক্ষক নিয়োগ না থাকায় শূন্যপদ পূরন সম্ভব হচ্ছেনা ছাত্র/ছাত্রী ঝঁরে পড়ার নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, নিয়মিত পাঠদান চালু থাকলে অচিরেই তাদের কে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা অব্যাহত থাকবে উপজেলা শিক্ষানুরাগী ও সুশিল সমাজের দাবী ছাত্র / ছাত্রীদের সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলার জন্য শূন্য পদ পূরনের জন্য জোর দাবী জানা।
Development by: webnewsdesign.com