মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঈদের পরপরই লকডাউন শুরু হয়েছে সিলেটসহ সারাদেশে। এবারের লকডাউনকে ‘কঠোরতর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এই কঠোরতর লকডাউনে সরকারি, বেসরকারি সব অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন, শপিংমল সব বন্ধ।
আজ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে সিলেট মহানগরী প্রায় ফাঁকা। বাইরে মানুষের ঘোরাফেরা নেই, গণপরিবহনও চলছে না। বিপণিবিতান, দোকানপাট সব বন্ধ। বাস চলছে না, ট্রেনও ছেড়ে যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে কঠোর অবস্থানে। টহলে আছে সেনাবাহিনী ও বিজিবিও।
এই লকডাউনে সিলেটসহ সারাদেশে যা কিছু বন্ধ থাকছে
*সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ। তবে সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলের এলাকায় অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কাজ ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করবেন।
*সব প্রকার শিল্প কারখানা বন্ধ, যা আগে লকডাউনের মধ্যে খোলা রাখার অনুমতি ছিল।
*সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ।
*বিপণিবিতান/মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ।
*সকল পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ।
*জনসমাবেশ হয় এই ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ।
লকডাউনের মধ্যে যা কিছু খোলা
*আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রম, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম), সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে চলাচল করতে পারবে।
*জরুরি পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, নৌযান, পণ্যবাহী রেল ও ফেরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকছে না। ফেরিতে কেবল পণ্যবাহী গাড়ী ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা যাবে।
*খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা; কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ঔষধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প লকডাউনে খোলা থাকছে।
*কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে।
*খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শুধু খাবার বিক্রি (অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে। দোকানে বা রেস্টুরেন্টে বসিয়ে খাবার খাওয়াতে পারবে না।
*বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং সংশ্লিষ্ট অফিস নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকছে।
Development by: webnewsdesign.com