চীনের জিনজিয়াং পবিত্র রমজান মাসে রোজার ওপর নিষেধাজ্ঞা কিছুটা কমলেও রোজা রাখতে এখনো আতঙ্ক আছে উইঘুরদের। নির্যাতন আরও বেড়ে যাওয়ার ভয়ে তাদের রোজা থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে।
বহু বছর ধরে উইঘুর এবং অন্যান্য তুর্কি মুসলমানদের চীন সরকার ধর্মীয় নিপীড়ন এবং বিধি-নিষেধের আওতায় রেখেছে।স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ জানায়, দীর্ঘকালীন ‘উগ্রপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার আশঙ্কা এবং আটক হওয়ার ভয়ে রোজা রাখছেন না তারা।
রমজান পালন করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এখানে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদেরও রোজা রাখতে নিষিদ্ধ করা হতো। অঞ্চলটির কয়েকটি এলাকায় মসজিদে প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং রেস্তোঁরাগুলো খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
উইঘুর অবসরপ্রাপ্তদের ও বয়স্কদের প্রায়শই রমজানের আগে রোজা না রাখার প্রতিজ্ঞা করতে বাধ্য করা হয়। তাদের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রতি উদাহরণ স্থাপনের জন্য নামাজ না পড়তে ও অন্যদেরও নামাজ থেকে বিরত থাকতে বলার জন্য দায়িত্বও দেওয়া হয়।
গত বছরের ২৩ এপ্রিল থেকে ২৩ মে ছিল রমজান। এসময় আরএফএ (রেডিও ফ্রি এশিয়া) জানতে পেরেছিল যে কাশগড় (চায়নিজ, কাশিয়ান ভাষায়) প্রদেশের মাকিত (মাইগাইতি) জনগোষ্ঠীর প্রায় ৮৮ শতাংশ মানুষ উইঘুর। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর এ এলাকার বাসিন্দাদের রোজা রাখছে এমন লোকের সন্ধান জানাতে বলা হয়। বাসিন্দাদের বলা হয়েছিল, তারা রোজার জন্য শাস্তির মুখোমুখি হতে পারে। এমনকি তাদের একটি বৃহত্তর ইন্টার্নমেন্ট ক্যাম্পে পাঠানোর হুমকিও দেওয়া হয়। ধারণা করা হয়, এ ক্যাম্পে ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ১.৮ মিলিয়ন উইঘুর এবং অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের আটকে রেখেছে চীন সরকার।
এদিকে, আরএফএ এ সময় কাশগরের পিজিওয়াত (জিয়াশি) কাউন্টির এক দলপ্রধানের সঙ্গেও কথা বলেছিল। তিনি জানান, ‘তার জনপদের বাসিন্দাদের রোজ ভোরে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যার রাজনৈতিক অধ্যয়নে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারণ বাসিন্দাদের রোজা রাখতে বাধা দেওয়ার জন্য এটি দরকার ছিল।’
Development by: webnewsdesign.com