রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রুয়েটে এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে গত ১৯ জানুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে স্মারক নং-২৩৪৪ সম্পূনভাবের্ নিয়োগবিধি লংঘন করে সহকারী টেকনিক্যাল পদ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের রুয়েটের নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করার সম্পূর্ন শর্ত থাকলেও তা পরিবর্তন করে উক্ত পদে প্রার্থীর যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলে উচ্চতর ডিগ্রীধারী গনও আবেদন করতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে যা রুয়েটের নীতিমালার স্পষ্ট লংঘন একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো যাহার স্মারক নং -১৫৯৩ উপরোক্ত বিজ্ঞপ্তিতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী তড়িৎ,পুর,ও জুনিয়র ইন্সস্টুমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিলো এবং প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে চাওয়া হয়েছিলো প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলে ডিপ্লোমা থাকিতে হবে একই বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর দুই রকম যোগ্যতা চাওয়ার কারন হিসেবে জানতে রুয়েটের একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হইলে তারা আমাদের জানান যে গত ২০১৯ সালের নিয়োগে বর্তমান রুয়েট প্রশাসন উপ-সহকারী প্রকৌশলী তড়িৎ পদে একজন প্রার্থীকে নীতিমালা লংঘন করে নিয়োগ প্রদান করে একেবারে বেকায়দায় পড়েছেন কর্তৃপক্ষ ।
উক্ত চাকুরী পাওয়া ব্যক্তির নাম মো: আদনান আদিব সে রুয়েটের একজন ঠিকাদার এবং অনুসন্ধানে জানা যায় আদনান আদিবের উপরোক্ত পদে আবেদন করার যোগ্যতা না থাকলেও তাকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে উক্ত পদে নিয়োগ পেতে সহযোগিতা করেন প্রকৌশলী হারুন সহ রুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর পরিবারের লোকজন আদনান আদিবের নূন্যতম যোগ্যতা হিসেবে প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলে ডিপ্লোমা থাকিতে হইবে চাওয়া হয় কিন্তু তাহার স্বীকৃত বা অনুমোদিত কারিগরি শিক্ষবোর্ড থেকে পাশকৃত ডিপ্লোমার কোন সনদ নেই বলে জানা যায় ।
এবং উক্ত উপ সহকারী প্রকৌশলী তড়িৎ পদের একজন চাকুরী প্রার্থী মো: রায়হান ইসলাম উক্ত পদের নিয়োগ নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেছেন, যাহার মামলা নাম¦ার ১৩৩১৩ ।
অনুসন্ধানে জানা যায় তাদের এই অপকর্ম আড়াল করতে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বলে সবাই মনে করেন । শুধু নীতিমালা লংঘন করে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ প্রদান ছাড়াও রুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর তার আপন ছোট ভাই লেবুরুলকে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মকর্তা থেকে সরাসরি অফিসার পদে নিয়োগ প্রদান করেন যা রুয়েটের নীতিমালার সুস্পষ্ট লংঘন ।
বর্তমান রুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর জনাব রফিকুল ইসলাম শেখ ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে একের পর এক নিয়োগ প্রদান করে যাচ্ছেন তার প্রথম নিয়োগের সূচনা হয় প্রকৌশলী হারুনের নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ডের আগে প্রকৌশলী হারুন চাকুরীতে যোগদান করেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় প্রকৌশলী হারুনের নিয়োগ নিয়ে একাধিক প্রত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলেও তা আমলে নেননি বর্তমান রুয়েট প্রশাসন ।
নীতিমালা লংঘনসহ একাধিক অপকর্মের বিষয় জানতে রুয়েটের ভিসি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখের সাথে যোগাযোগ করা হইলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, জনবল নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। তিনি বলেন, অফিসে আসেন সাক্ষাতে কথা বলা যাবে।
নীতিমালা লংঘন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হইলে রুয়েটের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. সেলিম হোসেন বলেন, নিয়োগে কোনো ধরনের অনিয়ম ও দূর্নীতি হয়নি। সব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রফেসর ড. সেলিম হোসেন দাবি করেন, জনবল নিয়োগে সর্বশেষ সিন্ডিকেটে কিছু নতুন নীতিমালা করা হয়েছে। আর নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতের মাধ্যমে যে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং উচ্চ আদালতে চাকুরী প্রার্থীর রিট আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন এগুলোর কোন ভিত্তি নেই।
এ দিকে জনবল নিয়োগে সর্বশেষ সিন্ডিকেটে কিছু নতুন নীতিমালা করা হয়েছে বলে রুয়েটের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. সেলিম হোসেন দাবি করলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তা অস্বীকার করেছেন। নীতিমালা সংশোধন কমিটির সভাপতি ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহান এ ব্যাপারে বলেন, এ নিয়ে কাজ চলছে। আমরা এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে পারিনি। রুয়েটের কম্পোট্রলার ও নীতিমালা সংশোধন কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সর্বশেষ সিন্ডিকেটে কোন নীতিমালা হয়নি।
রুয়েট প্রধান প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন বলেন, জনবল নিয়োগে নতুন নীতিমালা হয়নি তিনি আরো বলেন যে রুয়েট ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নীতিমালা সংশোধন বিষয়ে মিথ্যাচার করছেন।
Development by: webnewsdesign.com