ঘরের মাঠে সবসময়ই অপ্রতিরোধ্য রিয়াল মাদ্রিদ। দেপোর্তিভো আলাভেসের বিপক্ষেও চিরচেনা খেলা উপহার দিয়ে এগিয়ে যায় তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে প্রবলভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আলাভেস। একের পর এক আক্রমণে ম্যাচে প্রায় সমতা টেনে এনেছিল দলটি। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে শেষমেশ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়লো কার্লো আনচেলত্তির দল। ম্যাচটি রিয়াল জিতেছে ৩-২ গোলে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথমার্ধে দু’টি গোল পায় রিয়াল। শুরুতে লুকাস ভাসকেস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে দলের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন রদ্রিগো। এরপর দুই মিনিটে দুই গোল করে লড়াই জমিয়ে তোলে আলাভেস।
ম্যাচের শুরুতেই গোল আদায় করে নেয় রিয়াল। ভিনিসিউস জুনিয়রের কাটব্যাকে নিখুঁত শতে জাল খুঁজে নেন ভাসকেস। এরপর ২২তম মিনিটে এমবাপ্পে বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়ে যায়। রিয়াল ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যাচের ৪০তম মিনিটে। জুড বেলিংহ্যামকে বল বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। ফিরতি বল নিয়ে একজনকে পাস কাটিয়ে প্লেসিং শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফরাসি তারকা। এই নিয়ে রিয়ালের জার্সিতে এমবাপ্পের গোল হলো ৫টি।
বিরতির পর তৃতীয় মিনিটে আবারও জালে বল জড়িয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যায় রিয়াল। ভাসকেসের পাস ধরে বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে নিচু শটে গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে গোলটি করেন রদ্রিগো। লা লিগার চলতি আসরে তার গোল হলো তিনটি।
৮৫তম মিনিটে নিজেদের সীমানায় বলের নিয়ন্ত্রণ হারায় রিয়াল। সেই বল ধরে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন মিডফিল্ডার কার্লোস বেনাভিদেস। পরের মিনিটে আবারও আলাভেসের আক্রমণ এবং গোল। বক্সে থেকে কোনাকুনি শট নেন কিকে গার্সিয়া, এবার অন্য পাশের পোস্টে লেগে বল ঠিকানা খুঁজে পায়। বাকি সময়ে আলাভেস রিয়ালকে চেপে ধরলেও রক্ষণ শক্ত করে রাখে রিয়াল। শেষ বাঁশি বাজতেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে তারা।
Development by: webnewsdesign.com