বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিন সাক্ষী। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
তিন সাক্ষী হলেন রিফাতের প্রতিবেশী আব্দুল হাই, সজল এবং হারুন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তিন সাক্ষীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের ১০ আইনজীবী। এ নিয়ে মামলার ১৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করলেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ভুবন চন্দ্র হালদার বলেন, রোববার রিফাত হত্যা মামলার তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আগামীকাল সোমবার একই আদালতে আরও তিন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। পাশাপাশি অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদেরও সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত দিন আগামীকাল।
গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। গত ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।
পাশাপাশি রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি প্রিন্স মোল্লা, মারুফ মল্লিক এবং আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ জামিনে রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে।
গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।
অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন মো. রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, মো. আবু আবদুল্লাহ রায়হান, মো. ওলিউল্লাহ অলি, জয় চন্দ্র সরকার চন্দন, মো. নাইম, মো. তানভীর হোসেন, নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, মো. সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ মহিবুল্লাহ, মারুফ মল্লিক, প্রিন্স মোল্লা, রাতুল সিকদার জয় এবং আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।
Development by: webnewsdesign.com