রাজীব গান্ধী হত্যায় দণ্ডিত আসামির ৩১ বছর পর মুক্তি

বুধবার, ১৮ মে ২০২২ | ২:০২ অপরাহ্ণ

রাজীব গান্ধী হত্যায় দণ্ডিত আসামির ৩১ বছর পর মুক্তি
apps

৩১ বছর পর ধরে কারাগারে থাকা ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এজি পেরারিভালানকে মুক্তি দিয়েছেন আদালত।এজি পেরারিভালান যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা ভোগ করছিলেন। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে তিনি বর্তমানে প্যারোলে আছেন।

পেরারিভালানের ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। প্রতি মাসে নিয়ম করে তাকে নিকটবর্তী থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় অন্যতম দোষী এজি পেরারিভালান বিস্ফোরক পদার্থ সরবরাহ করেছিলেন হত্যাকারীদের। ১৯৯১ সালের ১১ জুন পেরিয়ার থিডাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।

বিস্ফোরকের জন্য যে ৯ ভোল্টের ব্যাটারির প্রয়োজন পড়েছিল, সেটিই সরবরাহ করেছিলেন এই পেরারিভালান। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। যদিও পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পেরিরাভালানের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।

রাজীব গান্ধীর হত্যা মামলায় শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন তামিল টাইগার্সের সাত সদস্য বর্তমানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম রবার্ট পায়াস। ২০১৭ সালে তামিলনাডুর সরকারের কাছে তিনি যন্ত্রণাহীন মৃত্যুদণ্ডের অনুমতি চেয়েছিলেন। ২৬ বছর কারাবাসে থাকার পর জীবনের আর কোনও অর্থ নেই বলে জানিয়েছিলেন রবার্ট পায়াস।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে ১৯৯১ সালের ২১শে মে হত্যা করা হয়। দক্ষিণ ভারতে তিনি একটি নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনায় তিনজনকে প্রথমে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তিন আসামীকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আরও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। পরে আসামিদের প্রাণভিক্ষার আবেদনে সাড়া দিয়ে তাদের সাজা কমিয়ে সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে রাজীব হত্যায় সাত বন্দি নলিনী শ্রীহরণ, মুরুগান, পেরারিভিলান, রর্বাট পায়াস, রবিচন্দ্রন, সায়ান্থন ও জয়াকুমারের মুক্তির আর্জিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন।

Development by: webnewsdesign.com