রাজাপুরে ইভটিজিং’র অপমানে মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা

বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩ | ৮:২৮ অপরাহ্ণ

রাজাপুরে ইভটিজিং’র অপমানে মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা
রাজাপুরে ইভটিজিং'র অপমানে মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা
apps

ঝালকাঠির রাজাপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী ইভটিজিং এর অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বলে তার মা দাবী করেছে। মঙ্গলবার (১৩জুন) সন্ধ্যায় রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশ কাহনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ঐ মাদ্রাসা ছাত্রীর নাম কেয়া মনি (১৪)। সে ঐ এলাকার আব্দুল মজিদ খানের বড় মেয়ে ও চল্লিশ কাহনিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী।

মাদ্রাসা ছাত্রীর মা দোকানে ছোট মেয়ের উপ-বৃত্তির টাকা তুলে বাড়ি ফিরে দেখতে পায় বড় মেয়ের ঝুলন্ত লাশ। পুলিশ ঘটনাটি রহসজনক মনে করে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানোর জন্য রাজাপুর থানায় নিয়ে আসে।

কেয়া মনির মা নাসিমা বেগম জানায়, ঘটনার দিন মঙ্গলবার বিকালে ছোট মেয়ে মৌউরী আক্তারকে সাথে নিয়ে তার উপ-বৃত্তির টাকা তুলতে বাড়ির পাশের দোকানে যায় নাসিমা বেগম। এ সময় তার বড় মেয়ে কেয়া মনি বাড়িতে একাই ছিল। টাকা তুলে দোকান থেকে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে বসতঘরের দরজা-জানালা বন্ধ পেয়ে কেয়া মনিকে ডাকাডাকি করে নাসিমা। কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে কেয়ার বাবাকে ফোন করে বাড়িতে ডেকে আনেন। পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দোতলায় আড়ার সাথে গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলতে দেখে কেয়া মনিকে। এ সময় ঝুলন্ত অবস্থা থেকে কেয়া মনিকে নিচে নামিয়ে আনে নাসিমা। তবে কেয়া কি কারণে আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়ে তার পরিবার নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি। তবে স্থানীয় খলিল মোল্লার ছেলে মিজান কয়েকদিন পূর্বে রাস্তায় কেয়ার হাত ধরে টানাটানি করে ছিল এ কারণেও লজ্জায় সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে নাসিমা জানায়।

রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে বুধবার সকালে লাশ ময়না তদন্তে ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com