বিএনপি নেতার মৃত্যু

রাজশাহীর সাবেক কমিশনারসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২ | ৪:০৭ অপরাহ্ণ

রাজশাহীর সাবেক কমিশনারসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
apps

২০১৫ সালে পুলিশ হেফাজতে আইনুর রহমান মুক্তা নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যুর অভিযোগে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সাবেক কমিশনার মো: শামসুদ্দিনসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) মুক্তার স্ত্রী মর্জিনা রহমান (৫০) মহানগর দায়রা জজ আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার আবেদন করেছেন। ঘটনার সাত বছর পর তিনি স্বামীকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ এনেছেন।
মামলার আবেদনে আরএমপির তৎকালীন কমিশনার মো. শামসুদ্দিনসহ চারজনের নাম উল্লেখ আছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আসামি করার আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে আরও যাদের নাম আছে তারা হলেন- বোয়ালিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন খন্দকার, নগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তৎকালীন পরিদর্শক আশিকুর রহমান এবং বোয়ালিয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল ইসলাম।

মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি মর্জিনা রহমানের স্বামী রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক আইনুর রহমান মুক্তার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় ২৭ জানুয়ারি মুক্তাকে উপশহর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি হেফাজতে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এরপর সেদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কারা কর্তৃপক্ষ গুরুতর আহত মুক্তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ স্বজনদের মরদেহ হস্তান্তর করলেও দাফন না হওয়া পর্যন্ত তারা পাহারায় ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী মাইনুল আহসান পান্না বলেন, রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতারের পর মর্জিনার স্বামীকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। তাই হেফাজতে মৃত্যুর আইনে তিনি মামলার আবেদন করেছেন। আদালত আবেদন গ্রহণ করেছেন, কিন্তু কোনো আদেশ দেননি। পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।

Development by: webnewsdesign.com