লকডাউনের মধ্যে মার্কেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের পর রাজশাহী মহানগরীর সকল মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। ক্রেতাদের চাপে নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় ক্ষুদ্র যানজটও তৈরি হচ্ছে। আর সেই সঙ্গে বেড়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসীনতা। গরমের ওজুহাতে মাস্ক হাতে নিয়ে ঘুরছেন অনেক পথচারী। দোকানগুলোতে অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতা মাস্ক ব্যবহার করলেও সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই নেই। আবার অনেক দোকানিই নাকের নিচে মাস্ক নামিয়ে নিশ্চিন্তে ঈদের বিক্রিতে মেতেছেন। ক্রেতারাও এ বিষয়ে অসচেতন। মঙ্গলবার সকালে (২৭ এপ্রিল) নগরীর কোর্ট বাজার, নিউ মার্কেট ও সাহেব বাজার এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
অথচ স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে শপিংমল, বিপনীবিতান ও মার্কেট দেয় সরকার। মার্কেটগুলো খুলে দেয়ার পর সাহেব বাজার এলাকায় পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সচেতনামূলক কার্যক্রমও কম দেখা যাচ্ছে। মার্কেটগুলোর ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে প্রশাসন কিংবা মার্কেট সমিতির নেতাদেরও তেমন কোন কার্যক্রম দেখা যায়নি।
প্রথম দিন থেকেই নগরীর ফুটপাতের দোকানগুলোতে পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। সাহেব বাজার গণকপাড়া, আরডিএ মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানগুলোতেই ভিড় বেশি দেখা গেছে। স্বাধ্যের মধ্যে পণ্য কিনতে নিন্মবিত্তরা ফুটপাতেই ভিড় জমাচ্ছেন। তবে সেখানেও তেমন সুবিধা করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ক্রেতা।
তাদের অভিযোগ, আগের চেয়ে জিনিসপত্রের দাম বেশি হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা। ফুটপাতের দোকানগুলোতে কিছুটা কম দামে জিনিস কেনার উদ্যেশে গেলেও সেখানেও দাম বেশি। তবে
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের বেচাকেনা তেমন জমে উঠছে না। ক্রেতারা আসছেন। পন্য দেখছেন। কিন্তু দাম কম বলছেন। অনেকে কেনা দামও বলছেন না। আসলে করোনার কারণে মানুষের আয় কমেছে। এখন সামনের দিকগুলোতে বেচাবিক্রি ভালো হবে এমন আশায় আছি। দীর্ঘ সময় বসে থাকার মেশিনের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে দর্জীদের। মার্কেট খোলার প্রথম দিন অলস সময় পার করতে দেখা গেলেও এদিন অনেকটায় ব্যস্ত সময় পর করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী জানান, ঈদ কেন্দ্রিক তাদের বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ব্যবসায়ীরা সচেষ্ট আছেন। কেননা তাদের মধ্যে এক ধরণের ভীতি কাজ করছে যে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আবার হয়তো মার্কেট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে উদাসীনতার কারণে কিছু ব্যবসায়ী হয়তো সবসময় মাস্ক পরছেন না। আর সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মার্কেটের অবকাঠামোগত কারণে নিশ্চিত করা কষ্ট কর। এক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা প্রয়োজন। যেন মার্কেটে একসঙ্গে গাদাগাদি করে মানুষ ঢুকতে না পারে।
এ বিষয়ে রাজশাহী পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, তারা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন। মার্কেটগুলোতে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।
Development by: webnewsdesign.com