রাজশাহীর বাগমারায় যৌতুকের জন্য এক সন্তানের জননী শ্যামলী বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধুকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা শারীরিক ও মানুসিক ভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের রঘুপাড়া গ্রামে। ওই ঘটনায় গৃহবধু শ্যামলী বেগম নিজেই বাদী হয়ে স্বামীসহ তিনজনকে আসামী করে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বাগমারা থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ বছর পূর্বে উপজেলার রঘুপাড়া গ্রামের সুলতান আলীর কন্যা শ্যামলী বেগমের সাথে একই গ্রামের মৃত- আব্দুল জব্বারের ছেলে মানিক সরকারের সাথে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের কিছু দিন পর থেকে আসামী মরিজান বেগম ও মফিজান বেগমের প্ররোচনায় স্বামী মানিক সরকার গৃহবধু শ্যামলী বেগমকে যৌতুকের জন্য নানা ভাবে নির্যাতন শুরু করে।
স্বামীর সংসার করার জন্য গৃহবধু শ্যামলী বেগম সকল নির্যাতন সহ্য করে তার শিশু সন্তানকে রক্ষার জন্য। কোন কিছুতেই স্বামীর মন গলাতে পারেনি গৃহবধু শ্যামলী বেগম। গত ২১ নভেম্বর যৌতুকের জন্য স্বামী মানিক সরকার আবারো গৃহবধু শ্যামলী বেগমকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। গৃহবধু শ্যামলী বেগম বাবার বাড়িতে ফিরে আসে এবং সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে গৃহবধু শ্যামলী বেগম বাদি হয়ে স্বামী মানিক সরকার, শ্বাশুড়ি মরিজান বেগমসহ তিন জনের নামে থানায় একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন।
গৃহবধূ শ্যামলী বেগমের অভিযোগ স্বামী মানিক সরকার উপরোক্ত আসামীদের প্ররোচনায় এক লক্ষ টাকা যৌতুক না দিলে তিনি আমাকে ছেড়ে দিবেন। তার গরীব বাবার পক্ষে এত টাকা দেয়া সম্ভব নয় বলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। স্বামী মানিক সরকার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহীর বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, মানিক সরকার তার স্ত্রী শ্যামলী বেগমকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
Development by: webnewsdesign.com