গত পহেলা আগষ্ট রাজশাহীর হরিষার ডাইং এলাকায় উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজাতে নিষেধ করায় প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে মুকুল আলী নামে একজন নিহত হন। নিহতের স্বজনেরার থানায় অভিযোগ করলে ৫ জনকে আটক করে শাহমুখদুম থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আরো ৩ জন পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বজনরা।রবিবার (৭ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে নগরীর একটি রেস্তোরায় নিহতের স্ত্রী ও ছেলের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত মকুলের ছেলে শামিম ইসলাম বলেন, রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকায় অভিযুক্ত বকুলের ছেলে নাহিদ উচ্চ স্বরে সাউন্ড বক্সে গান শুনছিলো। আমার বোন অন্তসত্বা ও অসুস্থ হওয়ায় আমার বাবা নাহিদের বাড়িতে গিয়ে গান বাজাতে নিষেধ করেন। নাহিদ তাৎক্ষণিক সাউন্ড বক্সের শব্দ কমিয়ে দিলেও সেখান থেকে চলে আসলে আবারও শব্দ বাড়িয়ে দেয়।আমার বাবা (মুকুল আলী) পুনরায় নাহিদের বাড়িতে গিয়ে উচ্চ স্বরে গান বাজাতে নিষেধ করলে আসামি নাহিদ ও তার পিতা বকুল আলী, মা ও তার বোন মিলে বাবাকে গালিগালাজ করে এবং তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে নাহিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা লোহার রড দিয়ে আমার বাবার মাথায় আঘাত করে এবং চাকু দ্বারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে।
এ সময় চিৎকার শুনে আমার ছোট ভাই শাহীন আলম ও জামাই আলমগীর সেখানে গেলে তাদেরকেও মারপিট ও চাকু দিয়ে আঘাত করে জখম করে।মকুলের ছেলে শামিম ইসলাম আরও জানায়, ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন বাবাকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুত্বর আহতবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ আগষ্ট (১ আগষ্ট দিবাগত) রাত সাড়ে ১২ টায় মৃত্যু বরণ করেন। এরপর আমি ঘটনার প্রেক্ষিতে শাহমখদুম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করি।তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে শাহমখদুম থানা পুলিশ গত ২ আগষ্ট হরিষার ডাইং ও কর্ণহার থানার মোল্লা ডাইং এলাকা হতে ৫ জন আসামিদের গ্রেপ্তার করেন। এখনো ৩ জন মূল আসামী পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতার ও সর্বচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
Development by: webnewsdesign.com