রাজশাহীতে তরুণকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা

সোমবার, ০৪ জুলাই ২০২২ | ১:০৭ অপরাহ্ণ

রাজশাহীতে তরুণকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা
apps

রাজশাহী মহানগরীতে সনি (১৮) নামে এক তরুণকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা। রোববার ৩ জুলাই রাত ৯টার দিকে নগরীর হেতেমখাঁ সবজিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণ নগরীর রেলগেট এলাকার রফিকুল ইসলাম পাখির ছেলে।নিহত তরুণের পিতা রফিকুল ইসলাম পাখি রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি। সনি মাস দু-এক আগে বিয়ে করেছেন। রোববার তাঁর জন্মদিন ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলকার সমবয়সী কিছু ছেলের সঙ্গে রেলগেট এলাকার সনিসহ আরও কয়েকজনের বিরোধ চলছিল। এর আগে দুই গ্রপের মধ্যে একাধিকবার মারামারি হয়েছে। পরে মীমাংসাও হয়েছে। কিন্তু এই বিরোধের জের ধরেই রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে থেকে সনিকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়।সনিসহ মোট চারজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই চারজনের একজনের নাম মো. নয়ন (১৯)। তিনি জানান, রাতে তাঁরা কয়েক বন্ধু সনির জন্মদিন উদ্যাপন করেন। সেখানে বাথরুমে পড়ে গিয়ে সিজার (১৮) নামের একজনের থুতনি কেটে যায়। এরপর সনি, নয়ন ও তৈয়বুর নামের আরেকজন আহত সিজারকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই রামেক হাসপাতালের সামনে চারজনকে একসঙ্গে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়।

সিজারকে আহত দেখে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে নয়ন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। আর তৈয়বুর ও সনিকে হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সনিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হন তৈয়বুরও।নিহত সনির চাচা যুবরাজ জানান, দুজনকে কোপানোর পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক সনিকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তৈয়বুর চিকিৎসাধীন। কেন এ ধরনের ঘটনা তা তিনি অনুমান করতে পারছেন না।

সনি ও তাঁর বন্ধুকে রামেক হাসপাতালে আনার পর জরুরি বিভাগের সামনেই উত্তেজনা দেখা দেয়। সনি হত্যার প্রতিবাদে জড়ো হন শতাধিক নারী-পুরুষ। তারা একত্রিত হয়ে হেতেমখাঁ সবজিপাড়ার দিকে যান। এ সময় ওই এলাকাতেও উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রামেক হাসপাতালের সামনে ও হেতেমখাঁ সবজিপাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা গা-ঢাকা দিয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের পর সনির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে বলেও জানান ওসি।

Development by: webnewsdesign.com