রাজশাহীতে চাঁদাবাজিকালে জনতার হাতে পুলিশ কনস্টেবল আটক

রাজশাহীতে চাঁদাবাজিকালে জনতার হাতে পুলিশ কনস্টেবল আটক
apps

রাজশাহীতে চাঁদাবাজির সময় আরএমপিরর এক পুলিশ কনস্টেবল আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। নগরীর হেতেম খাঁ এলাকায় চাঁদাবাজির সময় পুলিশের এক কনস্টেবলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতার কাছ থেকে পুলিশের ওই সদস্যকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করেন রাসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর। পুলিশের একটি সূত্র এবং রাসিকের ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: রবিউল ইসলাম তজু অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের পরিচয় নিশ্চিত করেছে।

(১৫ আগস্ট) সোমবার রাত দশটার দিকে নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ওই পুলিশের সঙ্গে থাকা অপরজন পালিয়ে যায়।আটক পুলিশ সদস্যের নাম মিজানুর রহমান। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বায়া ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানার পুলিশ তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার হেতেম খাঁ সবজিপাড়া এলাকার ভিলা ছাত্রাবাসের এক ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে নগদ ছয় হাজার টাকা নিয়ে যান বায়া পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মিজানুর।সোমবার রাত ১০ টার দিকে ওই ছাত্রের কাছে আরো ১০ হাজার টাকা নেয়ার সময় এলাকাবাসী তাকে হাতেনাতে ধরে গণধোলায় দিয়ে বোয়ালিয়া থানার পুলিশকে খবর দেয় স্থানিয় এলাকাবাসী।

এসময় ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে রক্ষা করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে যায়।রাসিকের ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তজু জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর এতেমখা সবজিপাড়ায় অবস্থিত তার কার্যালয়ের সামনে কনস্টেবল মিজানুর রহমান চাঁদাবাজী করতে আসলে এলাকাবাসী কনস্টেবল তাকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় কাউন্সিলর নিজে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে কাছ থেকে সিভিল পোশাকে থাকা কনস্টেবল মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। রাতে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত কনস্টেবল মিজানুর রহমান বোয়ালিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে আটক ছিলেন।

Development by: webnewsdesign.com