রাজশাহীতে কোট হড়গ্রাম কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৩:২৮ অপরাহ্ণ

রাজশাহীতে কোট হড়গ্রাম কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
apps

নির্ধারিত জায়গা আছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) প্রকল্পও গ্রহণ করেছে। কিন্তু একটি মহল কাঁচাবাজার প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা করছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার ওপর ব্যবসা করছেন। তাই ব্যবসায়ীরা দ্রুত বাজার প্রতিষ্ঠার দাবি জানালেন।

আজ শনিবার সকালে নগরীর হড়গ্রাম কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে স্থায়ী বাজার নির্মাণের দাবি জানান। তারা বলেন, কাঁচাবাজার প্রতিষ্ঠার জন্য সাড়ে ছয় বিঘা জায়গা নির্ধারিত আছে। কিন্তু একটি মহল সেখানে বাজার নির্মাণ করতে বিরোধীতা করছে। যারা বিরোধীতা করছেন তারা আসলে রাস্তার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দৈনিক চাঁদা তোলেন। স্থায়ী বাজার হলে তাদের চাঁদা তোলা বন্ধ হবে বলে তারা এর বিরোধীতা করছেন।

নগরীর কোর্টস্টেশন থেকে হড়গ্রাম বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি আগে অনেক সরু ছিল। সেই সময় থেকেই রাস্তার দুই পাশ দখলে নিয়ে কাঁচাবাজার বসে। সাম্প্রতিককালে রাস্তাটির লেন বিভক্ত করে চওড়া করা হয়েছে। কিন্তু এখনও ব্যবসায়ীরা রাস্তার দুইপাশে। তাই ব্যবসায়ীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে পুনর্বাসনের জন্য নন্দীপুকুর এলাকায় স্থায়ী কাঁচাবাজার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রাসিক। কিন্তু এলাকার একটি মহল এর বিরোধীতা করছে। তারা বলছেন, কাঁচাবাজার নির্মাণ করতে হলে তাদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা।

 

শনিবার মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা বলেন, পাকিস্তান আমল থেকেই বাজারের জন্য সাড়ে ছয় বিঘা জমি আছে। সেখানেই বাজার হবে। তারা বলেন, যুগের পর যুগ ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হয়। স্থায়ী বাজার হলে তাদের চাঁদা দিতে হবে না। এই চাঁদা যারা তোলেন তারা স্থায়ী কাঁচাবাজারের বিরোধীতা করছেন।

স্থায়ী কাঁচাজার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, রাস্তার ওপর তারা ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করেন। গাড়ি এসে ধাক্কা দেয়। আবার রাস্তা দখলের জন্য তাদের গালাগাল শুনতে হয়। রাস্তা দখলের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে মাঝে মাঝেই জরিমানা করেন। তারপরও জীবিকার তাগিদে তারা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ব্যবসা করেন। এখন তারা নির্ধারিত স্থানেই দ্রুত বাজার চান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বছরের পর বছর তাদের স্থায়ী বাজারে পুনর্বাসন করার আশ্বাস দেয়া হলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। এখন শহরের পশ্চিমাঞ্চলে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা স্থায়ী কাঁচাবাজার নির্মাণের জন্যও একনেকে প্রকল্প পাস করিয়ে এনেছেন। কিন্তু চাঁদাবাজদের বিরোধীতার কারণে এই বাজার প্রতিষ্ঠা বন্ধ হয়ে যেতে পারে না। তারা দ্রুত এই বাজার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। তারাও দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে স্থায়ী কাঁচাবাজার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। বাজার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব হলে তারা নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন।

ব্যবসায়ীদের মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন রাজপাড়া থানা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন। সংগঠনের উপদেষ্টা মনির উদ্দিন পান্নার পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন- সহসভাপতি আমিরুল হক, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, হড়গ্রাম কাঁচাবাজার বহুমখি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম খোকন, উপদেষ্টা মোশাররফ হোসেন রাজশাহী মহানগর গোস্ত বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আতাহার আলী, হড়গ্রাম নিউমার্কেট ব্যবাসায়ী সমিতির সভাপতি ফিরোজ আকতার, সাধারণ সম্পাদক শেখ জাকির হোসেন, ফুটপাত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাউসার আলী, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, হড়গ্রাম কাঁচাবাজার সমিতির সভাপতি বাদশা আলম প্রমুখ।

Development by: webnewsdesign.com