নিষিদ্ধঘোষিত একটি জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম জোবাইদা সিদ্দিকা নাবিলা (১৯)। এসময় তার হেফাজত হতে জঙ্গীবাদের কাজে ব্যবহৃত সিমকার্ড ও মেমোরিকার্ডসহ মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির সিটি-ইন্টেলিজেন্স এ্যানালাইসিস ডিভিশনের সাইবার ইন্টেল টিম।
রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান, বিপিএম (বার)।
সিটিটিসির প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত নাবিলা ২০২০ সালের প্রথম দিকে নিজের নাম পরিচয় গোপন করে ছদ্মনামে একটি ফেইক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে। একসময় সে ফেসবুকে আনসার আল ইসলামের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ ‘তিতুমীর মিডিয়া’ এর খোঁজ পায়।
তখন সে এই পেইজে যুক্ত হয়ে আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন উগ্রবাদী ভিডিও, অডিও ও আর্টিকেল সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে ও তাদের মতাদর্শকে লালন করে।
এর প্রেক্ষিতে ‘তিতুমীর মিডিয়া’ এর পেইজের অ্যাডমিন এর সাথে তার যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ‘তিতুমীর মিডিয়া’ এর পেইজের অ্যাডমিন উগ্রবাদী জিহাদী কনটেন্ট সম্বলিত আনসার আল ইসলামের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট সমূহের লিংক তাকে প্রদান করে।
এর প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারকৃত নারী জঙ্গি আনসার আল ইসলামের সেসব অফিসিয়াল ওয়েবসাইট সমূহে প্রবেশ করে ও তাদের উগ্রবাদী মতাদর্শকে কঠোরভাবে লালন করে।
তাদের মতাদর্শকে সবার সঙ্গে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য অনলাইন মিডিয়া প্লাটফর্মকে বেছে নেয়। এরই ফলশ্রুতিতে গ্রেপ্তারকৃত নাবিলা ফেসবুক, টেলিগ্রাম ও ‘Chirpwire’ নামক অনলাইন প্লাটফর্মসমূহে বিভিন্ন ছদ্মনামে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত নাবিলা আনসার আল ইসলামের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে একাউন্ট খোলার নির্দেশনা পেয়ে সেখানেও একাউন্ট খুলে উগ্রবাদী প্রচারণা চালাতো। এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই গ্রেপ্তারকৃত নারী জিহাদের ময়দানে অংশগ্রহণের জন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে।
এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে তার বিবাহের কথাবার্তা চললে সে ছেলে পক্ষকে জানায়, সে জিহাদের ময়দানে ডাক আসলে সামনের সারিতে থাকবে ও শহীদি মৃত্যু আসলেও সে পিছু হটবে না এবং ছেলে এরূপ মতাদর্শের না হলে সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে না।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। সে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে ৫ দিনের রিমান্ডে পুলিশ হেফাজতে আছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।
Development by: webnewsdesign.com