চট্রগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা হিন্দুদের দীর্ঘদিনের পুরনো শ্মশানের জায়গা দকলে অভিযোগ বৌদ্ধ ভিক্ষুর বিরুদ্বে মানববন্ধন করেছে সনাতন ধর্মালম্বীরা। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ১০ মাইল মুক্তিযোদ্ধা বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। প্রতিবাদী হিন্দু সমাজ পদুয়া নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে ফলাহারিয়া হিন্দু পাড়া এলাকার শতাধিক বাসিন্দা। সংগঠনের আহ্বায়ক প্রিয়তোষ কান্তি দে, রুবেল দে, খোকন কান্তি দে, উজ্জল দে, ঋষিরাম দে, নেপাল কান্তি দে, বিমল দে, রাজু দে প্রমুখ। মানববন্ধন বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পদুয়া ইউনিয়নের ফলাহারিয়ায় তাদের দীর্ঘদিনের পুরাতন শ্মশান জোরপূর্বক দখল ও ভাংচুর করা হয়েছে। এমন কি এক নারীর মৃতদেহ সৎকার করতে গেলে দীর্ঘ ৪ ঘন্টা তাদের লাশসহ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়ছে।
সম্প্রতি তাদের শ্মশানের মৃতদেহ রাখার ঘরসহ ৮ টি শবঘর ভাংচুর করা হয়েছে। বাধা দিতে গেলে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মার ধর করাসহ প্রতিনিয়ত হুমকি ধুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা।স্থানীয় জ্ঞানশরণ মহারণ্য বৌদ্ধ বিহারের ভান্তে শরণাংকর ভিক্ষু ইন্ধনে ফলাহারিয়ার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কিছু চিহ্নিত ব্যক্তি এই ঘটনা ঘাঁটাচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এ অভিযোগে সম্প্রতি থানায় মামলা ও দায়ের করেছেন তারা। মানববন্ধন থেকে তাদের শ্মশান দখলমুক্তের দাবি জানানো হয়।
এছাড়া সনাতনী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে শরণাংকর ভান্তেকে রাঙ্গুনিয়ায় অবান্জিত ঘোষনা করে তাকে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। এদিকে বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণাংকর থেরর সনাতনী সম্প্রদায়ের শ্মশান দখল, সরকারী বন ভূমি দখল,সাম্প্রদায়িক নানান উসকানির বিষয়ে জানতে গতকাল বুধবার পদুয়া ইউনিয়নের ফলাহারিয়া গ্রামে গিয়েছেন পুলিশের চট্রগ্রাম রেজ্ঞের (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন। এসময় চট্রগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন শামীম ও রাঙ্গুনিয়া থানা ওসি, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জ্ঞানশরন মহারণ্য নামে ভূমি দখল, শ্মশান ভাংচুরের বিষয়টি খতিয়ে দেখেন এবং উপস্থিত স্থানীয় বৌদ্ধ ও হিন্দু জনসাধারণ, বৌদ্ধ ভিক্ষু, মুসলিম উম্মহ ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। বন ভূমি অবৈধ দখলের সত্যটা পেয়ছেন বলে জানিয়াছন (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন,তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকারী বন ভূমি কেউ পূর্ব অনুমিত ব্যতিত দখল ও ব্যবহারের এখতিয়ার নেই। এটা কোন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্টান এ কাজ করলে তা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। জ্ঞানশরণ মহারণ্য বৌদ্ধ বিহারে অবৈধ ভাবে বন ভুমি দখলের সত্যটা পাওয়া গেছে।
এছাড়া বিভিন্ন স্থানে আর ও দখল প্রক্রিয়া চালাতে মাটি খনন ইট ও দেখা গেছে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পদুয়ায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
Development by: webnewsdesign.com