বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ১৯ বছর আগে রমনার বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার বিচার চলছে। আজ বুধবার সাক্ষ্য দেন ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত সুপার ইউসুফ আলী মোল্লা। তিনি তদন্তকারী কর্মকর্তার সহকারী ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষির জন্য দিন ধার্য করেন। এখন পর্যন্ত মোট ৫১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এ মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন তৎকালীন বিচারক। এদের মধ্যে মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হোসেন, শাহাদাত হোসেন, সাব্বির, শেখ ফরিদ, আবদুর রউফ, ইয়াহিয়া, আবু বকর ও আবু তাহের কারাগারে। সাক্ষ্যগ্রহণের আগে তাদের কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
পলাতক আছেন মাওলানা তাজউদ্দিন, শকিকুর রহমান, আবদুল হাই ও জাহাঙ্গীর আলম বদর। এ ছাড়া সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার দায়ে এ মামলায় প্রধান আসামি মুফতি আব্দুল হান্নানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে তার ফাঁসি কার্যকর হয়।
২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (বাংলা ১৪০৮ সনের ১ বৈশাখ) রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় মারা যায় ১০ জন নিরীহ ব্যক্তি। ওই ঘটনায় তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
Development by: webnewsdesign.com