টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কিডনি বিভাগে আবারো রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে করে অপেক্ষামান রোগীদের উপচে পড়া ভিড়ে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ইউনিটের চিকিৎসকরা।
এর আগে গত সপ্তাহের বুধবার ওয়াটার প্লান্টের মূল সরবরাহ লাইনের দু’টি মেশিন নষ্ট হওয়ার কারণে ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে চরম বিপাকে পড়েন রংপুরের আট জেলার শত শত কিডনিজনিত জটিল রোগে আক্রান্তরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক ধরে রমেকের ২৫টি ডায়ালাইসিস মেশিনের ১১টি বিকল হয়ে পড়ে আছে। বাকি ১৪টি মেশিন দিয়ে কোনোরকমে চলছিলো কার্যক্রম। কিন্তু গত সপ্তাহের বুধবার ওয়াটার প্লান্টের মূল সরবরাহ লাইনের দুটি মেশিন বিকল হলে বন্ধ হয়ে যায় ডায়ালাইসিস ইউনিটের পুরো কার্যক্রম। চলতি সপ্তাহের শনিবার ঢাকা থেকে আসা প্রকৌশলী ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মেশিন দুটি কোনরকম ব্যবহার উপযোগী করতে সক্ষম হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার থেকে আবারও ডায়ালাইসিস ইউনিটের কার্যক্রম সচল হলো। তবে চাহিদা অনুযায়ী ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মেশিন এবং ডায়ালাইসিস মেশিন না থাকায় কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ইউনিটের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান ও সংশ্লিষ্টদের।
ডায়ালাইসিস ইউনিটের সিনিয়র স্টাফ নার্স আছমা বেগম বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় মেশিন কম, অথচ রোগীর শেষ নেই। একেক জনের রোগীর ডায়ালাইসিস করতে সর্বনিম্ন ৩-৪ ঘণ্টা সময় লাগে। এটাতো রোগীরা বুঝতে চায় না।
এদিকে ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু প্রসঙ্গে রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ত্রুটি মোটামুটি কাজ সারানো হয়েছে। তবে প্লান্ট দুটির আরো কিছু কাজ বাকি আছে। পরে প্রকৌশলী এসে আবার কাজ করবেন। আপাতত রোগীরা পুরোদমে ডায়ালাইসিস ইউনিট থেকে সেবা নিতে পারবেন।
এ সময় তিনি বলেন, মেশিনের মেয়াদ আছে কিন্তু ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে যাওয়ায় কোম্পানি থেকে সার্ভিসিং পেতে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু করতে বিলম্ব হয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেশিনগুলোর সংস্কার করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com