ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোরে এই হামলা শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার হামলার অষ্টমদিন। রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সাত দিনে রুশ সেনারা ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়েছে। একযোগে বিভিন্ন দিক থেকে অভিযান চালিয়ে রাশিয়া এখন পর্যন্ত দখলে নিয়েছে কয়েকটি নগরী।
এদিকে, যুদ্ধের এই অবস্থায় ইউক্রেনে আটকা স্ত্রী-সন্তানকে বাঁচাতে লন্ডন শিক্ষকের একটি ঘটনা ভাইরাল হয়েছে।
ঘটনায় জানা গেছে, স্ত্রী এবং সন্তান আটকে রয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে। চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছিল তার। তাই স্কুলের চাকরি ছেড়ে লন্ডন থেকে সোজা পাড়ি দিলেন প্রতিবেশি পোল্যান্ডে। লন্ডনের একটি স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক ইয়ান উমনি ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন সেকথা।
তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “এই সময় আমাকে পরিবারের সবচেয়ে বেশি দরকার। আমি তাই সবকিছু ছেড়ে তাদের পাশে থাকার জন্য ইউক্রেনে পাড়ি দিলাম।”
জানা গেছে, গত কয়েকদিন চোখের পাতা এক করতে পারেননি এই শিক্ষক। কীভাবে আছে তার পরিবার সে কথা ভেবেই দিন কেটেছে তার। অবশেষে তিনি ঠিক করলেন যেকোনওভাবেই হোক পরিবারের পাশে থাকতেই হবে। তাই সবকিছুকে ভুলে তিনি তার ব্যাগ প্যাক করে নেন এবং বেরিয়ে পড়েন ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে। একটি আপডেটে তিনি লিখেছেন , “ইউক্রেনকে সর্মথন করুন। ইউক্রেনের পাশে থাকুন।”
ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে, তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে তার ব্যাগ প্যাক করা দেখানো হয়েছে। তিনি ভিডিওটির ক্যাপশন দিয়েছেন, “আমি আমার স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করতে ইউক্রেনে যাচ্ছি।”
প্রথমে তিনি ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে পৌঁছান সেখান থেকে পোল্যান্ডের ক্রাকো বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন বলেছেন, “আমি এখানে ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে গেটে যাচ্ছি তারপর ক্র্যাকোর ফ্লাইটে যাচ্ছি। পরবর্তী আপডেট আমি করতে চাই যদি আমি ক্রাকোতে যেতে পারি, ওয়াইফাই চালু করতে পারি।”
পরবর্তী ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনি ক্রাকওয়ের রেলস্টেশনের মধ্য দিয়ে হাঁটছিলেন। তিনি বলেন, “ট্রেনটি শহরের কেন্দ্রে যাচ্ছে, পরবর্তী স্টপ হবে পোল্যান্ড সীমান্ত।”
সোমবার সকালে, উমনি তার সাম্প্রতিক আপডেট পোস্ট করেছেন যখন তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি গতকাল রাতে সফলভাবে ইউক্রেনে প্রবেশ করেছি। এবং পরিবারকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে চাই।” সূত্র: ডেইলি মেইল
Development by: webnewsdesign.com