যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াকে সতর্ক করল বৃটেন

শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১ | ৬:২৮ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াকে সতর্ক করল বৃটেন
বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস
apps

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াকে সতর্ক করেছে বৃটেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সুরে সুর মিলিয়ে তারাও জানিয়ে দিয়েছে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে কঠোর অর্থনৈতিক পরিণতি ভোগ করতে হবে রাশিয়াকে। বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস এই সতর্কতা উচ্চারণ করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

লিভারপুলে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে তিনি বক্তব্য রাখেন। এতে রাশিয়ার এমন পদক্ষেপকে ভুল আখ্যায়িত করে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। মিস ট্রুস বলেন, রাশিয়াকে ওই পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত রাখবে বৃটেন এবং তার মিত্ররা।

সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে ব্যাপক সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে সেখানে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইউক্রেনের আশঙ্কা তাদের দেশ দখল করে নিতে পারে রাশিয়া। তবে আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনার কথা প্রত্যাখ্যান করেছে ক্রেমলিন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের দেয়া সতর্কতা উল্লেখ করে মিস ট্রুস বলেন, ইউক্রেনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের বিপরীতে চরম মাত্রায় কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে জি৭। তিনি আরো বলেন, রাশিয়া যদি আগ্রাসন চালায়, তাহলে তা হবে কৌশলগত একটি ভুল। এর জন্য রাশিয়াকে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
রাশিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে ইউক্রেনের। দেশটি সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অংশ ছিল। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গভীর। অন্যদিকে উস্কানি দেয়ার জন্য ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে রাশিয়া। একই সঙ্গে পূর্ব দিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে গ্যারান্টি চায় তারা। পাশাপাশি তার সীমান্তের কাছে অস্ত্র মোতায়েন বন্ধ দাবি করে রাশিয়া। জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আগে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দমিত্র কুলেবারের সঙ্গে লন্ডনে আলোচনা করেন বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মিস ট্রুসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায়, তাহলে কি সামরিক উপায়ে জবাব দেয়া হবে কিনা। জবাবে মিস ট্রুস বলেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সক্ষমতা নিয়ে দেশটির সঙ্গে কাজ করছে বৃটেন। তার ভাষায়, আমরা তাদেরকে সাপোর্ট দিচ্ছি। তাদেরকে আমরা জ্বালানি স্থিতিশীল রাখতে সহায়তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি, যাতে তাদেরকে রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহের ওপর নির্ভর করতে না হয়। এভাবেই আমরা ইউক্রেনকে সাপোর্ট দিয়ে সহায়তা করে যাবো।

তিনি আরো বলেছেন, রাশিয়ার জ্বালানির ওপর যাতে কম নির্ভরশীল হয় সেটা নিশ্চিত করতে আমরা বৃটেন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে কাজ করে চলেছি।

Development by: webnewsdesign.com