যশোর শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২ | ২:২৯ অপরাহ্ণ

যশোর শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
apps

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের জন্য কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও প্রিন্টার ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমির হোসেনসহ ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে। মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। পণ্য ক্রয়ে বাজার মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ ১৪ টাকা ব্যয় করার বিষয়টি দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ায় মামলাটি করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন, বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমির হোসেন, কমন সার্ভিস বিভাগের সহকারী সচিব জাহাঙ্গীর আলম, নিরাপত্তা অফিসার মনির হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন, ক্রীড়া অফিসার আফম আসাফুদৌলা, অডিট অফিসার আব্দুস সালাম, হিসাব অফিসার মিজানুর রহমান, জাহানারা খাতুন, কমন সার্ভিস বিভাগের সহকারী সচিব আশরাফুল ইসলাম ও সিস্টেম এ্যানালিস্ট শরিফ সালমা কহিনুর।

দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক আল-আমিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি দুদকের নজরে আসে। এরপর দুদক অনুসন্ধানে আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ায় মঙ্গলবার সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে পণ্য ক্রয় কমিটির ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা করেছেন। তদন্তে উল্লেখিত ব্যক্তি ছাড়াও আর কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৬-১৭, ১৭-১৮ ও ১৮-১৯ অর্থ বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও প্রিন্টার ক্রয় বাবদ ৩ কোটি ১৬ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫ টাকা ব্যয় করা হয়। এ ব্যয় অডিট বিভাগের কাছে অসংগতি মনে হয়েছে। বিষয়টি দুদক জানতে পেরে তদন্ত শুরু করে। এরপর বাজার মূল্য যাচাইয়ের জন্য গণপূর্ত বিভাগ যশোরের একজন নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দিয়ে প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার ৩৪২ টাকা। পণ্য ক্রয়ে বাজার মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ ১৪ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

বোর্ডের ক্রয় কমিটি পরিকল্পিত ভাবে আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ বিষয়ক পরিপত্রের সংযোজনী তালিকার বর্ণিত নির্দেশনা লংঘন করেছে। ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত দরপত্র আহবান না করে ছোট ছোট আকারে বিভক্ত করে ১১৫টি রিকোয়েস্ট ফর কোটেশনের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ক্রয় করেন। এতে ক্রয় কমিটির সদস্যরা লাভবান হলেও সরকারের ১ কোটি ২০ লাখ ১৪ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com